আপনি যদি বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং এর একজন গ্রাহক হন। তবে আপনার বিকাশ অফিসের নাম্বার জানার দরকার রয়েছে। কারণ হল কখন আপনার বিকাশ একাউন্টের সমস্যা হয়। অথবা বিকাশের বিভিন্ন নতুন অফার সম্পর্কে জানার জন্য বিকাশ অফিসের নাম্বার সংগ্রহে রাখতে পারেন।

বিকাশ ইমেইল নাম্বার কি?

আপনি এখন চাইলেই বিকাশ অফিসের ইমেইল ব্যবহার করে আপনার বিকাশ জনিত বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে নিতে পারেন। বিকাশ অফিসের ইমেইল নাম্বার হলঃ support@bkash.com

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার কত সময় খোলা থাকে?

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার সকাল ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত খোলা থাকে। সরকারি বন্ধের দিন বাদে বিকাশ কাস্টমার কেয়ার খোলা থাকে সপ্তাহে ৭ দিন। সপ্তাহের সাত দিন ২৪ ঘন্টা সেবা পেতে কল করুন এই 16247 নাম্বারে।

বিকাশ লাইভ চ্যাট | Bkash live chat

আপনি চাইলে সরাসরি বিকাশ এর লাইভ চ্যাটে কাস্টমার কেয়ারদের কাছ থেকে কথা বলে আপনার বিকাশ জনিত যেকোন তথ্য আপনি থেকে জেনে নিতে পারেন। বিকাশ লাইভ চ্যাট এ জয়েন হওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনি এই লিংকে ক্লিক করবেন।

ক্লিক করার একটু সময় পরে বিকাশের একজন কাস্টমার প্রতিনিধি আপনার সাথে কথা বলার জন্য যুক্ত হবেন। এরপর আপনি আপনার বিকাশ একাউন্টের যে সমস্যাটি হয়েছে তাদেরকে লিখে বলুন। আর আপনি চাইলে ছবি যুক্ত করে দিতে পারেন।

কেননা সেই অপশনটিও বিকাশ লাইভ চ্যাট এ রয়েছে। আমরা যেমন ফেসবুকে ফেসবুকের মেসেঞ্জার চ্যাটিং করি। ঠিক একই রকম বিকাশ লাইভ চ্যাটও। আপনি যখন আপনার সমস্যার কথা বিকাশ কাস্টমার প্রতিনিধির কাছে বলবেন। তখন আপনার একাউন্টের সত্যতা যাচাই করার জন্য আপনার কাছে কিছু তথ্য চাইতে পারে।

যেমনঃ আপনার নাম, আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার, মোবাইল নাম্বার, জন্ম তারিখ ইত্যাদি। আপনি যদি সঠিকভাবে এই সকল তথ্য গুলো দিয়ে থাকেন। তাহলে আপনার বিকাশ একাউন্টের যেই সমস্যাটি তারা তাৎক্ষণিকভাবে ঠিক করে দিবেন।

আর বিকাশ লাইভ চ্যাট এর এটাই হল সবচেয়ে বড় ধরনের সুবিধা। তাই আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে আপনার বিকাশ একাউন্টের যাবতীয় সমস্যার সমাধান করতে পারবেন। এছাড়াও আপনি বিকাশের যে নতুন অফার গুলো রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের কাছ থেকে তা জেনে নিতে পারেন।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার ঢাকা?

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার ঢাকা এর ঠিকানায় যোগাযোগ করতে চাইলে নিচের ঠিকানা সমূহ ব্যবহার করবেন।ঢাকা মহাখালী বিকাশ কাস্টমার কেয়ার – এসকেএস টাওয়ার, নীচ তলা, ৭ ভি আই পি রোড, মহাখালী, ঢাকা-১২০৬

ঢাকা বাংলামোটর বিকাশ কাস্টমার কেয়ার – নাসির ট্রেড সেন্টার, ২য় তলা, ৮৯, বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়ক, ঢাকা-১২০৫।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার যাত্রাবাড়ী?

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার যাত্রাবাড়ীর ঠিকানায় যোগাযোগ করতে চাইলে আপনি নিচের এই ঠিকানা ব্যবহার করবেন। ঢাকা যাত্রাবাড়ী কাস্টমার কেয়ার – রোহামা কমপ্লেক্স, গ্রাউন্ড ফ্লোর, ৩১৪/এ/৬, দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ঢাকা-১২০৪।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার গাজীপুর?

আপনি যদি গাজীপুর বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের ঠিকানা খুঁজে থাকেন তাহলে আপনি এই ঠিকানা ব্যবহার করবেন। গাজীপুর বিকাশ কাস্টমার কেয়ার – বাতেন ভবন, ২য় তলা, ৪৯৪ বশির সড়ক, জয়দেবপুর, গাজীপুর।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার চট্টগ্রাম?

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার চট্টগ্রাম এর ঠিকানায় যোগাযোগ করতে চাইলে নিচের ঠিকানা সমূহ ব্যবহার করবেন। চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ কাস্টমার কেয়ার – আগ্রাবাদ সেন্টার, ২৪৭০/এ, চৌমুহনী, নিচ তলা, শেখ মুজিব রোড, চট্টগ্রাম। চট্টগ্রাম মুরাদপুর কাস্টমার কেয়ার – ইসলাম টাওয়ার, নীচতলা, ৫৯ সিডিএ এভিনিউ, মুরাদপুর, চট্টগ্রাম।

বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নারায়ণগঞ্জ?

আপনি যদি নারায়ণগঞ্জের একজন বাসিন্দা হন এবং বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের ঠিকানা খুঁজে থাকেন। তাহলে আপনি নারায়ণগঞ্জ সদরের এই ঠিকানা ব্যবহার করবেনঃ বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নারায়ণগঞ্জ – আফিয়া মেডিসিন কর্নার, ১৭৫ নং খন্দকার টাওয়ার, দেওভোগ, নারায়ণগঞ্জ।

পরিশেষে বলা যায় বিকাশ অফিস নাম্বার এবং বিকাশ লাইভ চ্যাট এর ঠিকানা আমি এই পোস্টে তুলে ধরেছি। আশা করি এগুলো আপনাদের অনেক কাজে আসবে। তাই আপনি যদি বিকাশ একাউন্টের একজন নতুন অথবা পুরাতন গ্রাহক হয়ে থাকেন। তাহলে এই দুটি বিষয় অবশ্যই আপনার জানা উচিত।

বিষয় দুটির একটি হল বিকাশ অফিসের নাম্বার আরেকটি হল বিকাশ লাইভ চ্যাট কিভাবে করে। কেননা যেকোন মুহূর্তে আপনি আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নিয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। তাই এই দু’টি তথ্য জেনে রাখবেন ভবিষ্যতে আপনার কাজে আসবে।

বিকাশ অফিস নাম্বার?

বিকাশের যে কোন ধরনের সমস্যা সমাধান করার জন্য আমাদের উচিত বিকাশ অফিসের নাম্বার জানা। তাই আপনাদের সুবিধার্থে আমি বিকাশ কাস্টমার কেয়ারের নাম্বার নিচে দিয়ে দিচ্ছি। বিকাশ এর যেকোন তথ্যের ব্যাপারে আপনি নিচের বিকাশ অফিস নাম্বার ব্যবহার করে সকল সমস্যার সমাধান করে নিতে পারবেন।

বিকাশ অফিসের নাম্বার হলঃ ১৬২৪৭ অথবা ০২-৫৫৬৬৩০০১ । আপনি যেকোন মোবাইল অপারেটর থেকে বিকাশ অফিস নাম্বারে কল দিতে পারেন যেমনঃ রবি, গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, এয়ারটেল, টেলিটক, সিটিসেল, এবং টি এন্ড টি ইত্যাদি।