ডোমেইন নেম কি | ডোমেইন কত প্রকার

গুগলে অনেকেই এই বিষয়টি জানতে চান যে ডোমেইন নেম কি? মূলত ডোমেইন একটি ইংরেজী শব্দ যার বাংলা হচ্ছে ঠিকানা। যেমনঃ আপনি যদি সহজ ভাষায় বুঝতে চান তবে এই ধরনের ঠিকানা মূলত ইন্টারনেটের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

ডোমেইন নেম

আর একটা নির্দিষ্ট ঠিকানা উপর ভিত্তি করে আপনি ওই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন। তাই বলা যায় একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটের নামই হল ডোমেইন। উদাহরণ দিয়ে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হওয়া যায়।

যেমন আপনি এখন আমাদের ওয়েবসাইটে এসে কন্টেন পড়ছেন। সেখানে আসার জন্য আপনার কাছ থেকে নির্দিষ্ট ঠিকানার প্রয়োজন পড়েছে। যেমনঃ ঠিকানাটি হল tricksbro.com এই নির্দিষ্ট একটা ঠিকানা।

আর এই নির্দিষ্ট ঠিকানাটাই হল একটি ডোমেইন। অপরদিকে ঠিকানা ছাড়া আপনি যেমন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারবেন না। ঠিক তেমনিভাবে আপনি ঠিকানা ছাড়া কোন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে পারবেন না।

ডোমেইন কত প্রকার?

সাধারণত ডোমেইনকে ২ প্রকার বা ৩ প্রকার এভাবে ভাগ করা সম্ভব নয়। তাই ব্যবহারগত দিক থেকে ডোমেইনকে ৪ টি ভাগে বিভক্ত করা হয়ে থাকে যেমনঃ

  • TLD Domain
  • gTLD Domain
  • SLD Domain
  • ccTLD Domain

TLD Domain কি?

TLD এর পূর্নরুপ হলো, Top Level Domain. যে ডোমেইনের এক্সটেনশন গুলো টপ লেভেলের, সেই ডোমেইন গুলোকে বলা হয়, TLD Domain.

এমন কিছু ডোমেইন এক্সটেনশন হলো, (.com) (.net) (.info) (.org) ইত্যাদি ডোমেইন এক্সটেনশন গুলো হলঃ TLD Domain এর আওতাভুক্ত। কিছু TLD বা Top Level Domain extension এর উদাহরণঃ

  • .Com (commercial)
  • .Org (Orgenization)
  • .Net (Network)
  • .edu (Education)
  • .gov (Government)
  • .info (Information)
  • .biz (Business)

টপ লেভেল ডোমেইন কাকে বলে?

আমরা অনেকেই গুগোল এই বিষয়টিও জানতে চাই যে টপ লেভেল ডোমেইন কি। আপনি যদি সহজ ভাষায় বুঝতে চান তাহলে internet domain extension এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত যে এক্সটেনশন গুলো রয়েছে সে গুলোকে মূলত ধরা হয় টপ-লেভেল ডোমেইন।

টপ লেভেল ডোমেইন গুলো যেমন সাধারণ মানুষ বেশি আকারে ব্যবহার করেন ঠিক তার জন্য গুগল এই ডোমেইন এক্সটেনশন গুলোকে অনেক গুরুত্ব সহকারে দেখে।

সেজন্য আলাদাভাবে আপনার সার্চ ইঞ্জিনে রেঙ্ক দিয়ে থাকে। আর আপনি যদি কখনও ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বানানোর কথা চিন্তা করেন তাহলে অবশ্যই আপনি টপ লেভেল ডোমেইন ব্যবহার করবেন।

gTLD Domain কি?

gTLD এর পূর্নরুপ হল Generic Top Level Domain. যখন কোনো ডোমেইনের এক্সটেনশন, কোন দেশকে ইন্ডিকেট করে না। সেই ডোমেইন এক্সটেনশন গুলোকে gTLD Domain. বলা হয়।

এমন কিছু ডোমেইনের নাম হল (.com) (.info) (.org) ইত্যাদি ডোমেইন এক্সটেনশন গুলো হল gTLD domain এর আওতাভুক্ত।

কান্ট্রি ডোমেইন কাকে বলে?

গুগলের ব্যাপারটিও অনেকে সার্চ করেন যে কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন আসলে কি? কান্টি লেভেল ডোমেইন বলতে আমরা যদি সহজ ভাবে বুঝি সেটি হল কোন দেশের Two letter ISO code এর উপরে নামকরণ করা হয়ে থাকে।

আর আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন দেশকে টার্গেট করে কোন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান। সেক্ষেত্রে সবচাইতে ভালো হবে এই কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন গুলো ব্যবহার করা।

অর্থাৎ ওই দেশের যে এক্সটেনশন রয়েছে সেটি ব্যবহার করা। উদাহরণস্বরূপ বলতে পারেন যদি আপনি বাংলাদেশে টার্গেট করে কোন ওয়েবসাইট তৈরি করেন তাহলে আপনি ডট বিডি ( .bd) ব্যবহার করবেন।

এখানে ডটবিডি হল একটি কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন অর্থাৎ ডট বিডি বলতেই বাংলাদেশকে বুঝানো হয়েছে। ঠিক এমন ভাবেই প্রতিটি দেশের জন্যই যেই এক্সটেনশন গুলো তৈরি করা হয়েছে এগুলোই মূলত কান্ট্রি লেভেল ডোমেইন।

SLD Domain কি?

SLD এর পূর্নরুপ হল Sub Level Domain. অর্থ্যাৎ, কোন ডোমেইনে যেসব সাবডোমেইন যুক্ত করা হয়। সেই ডোমেইন গুলোকে সাব লেভেল ডোমেইন বলা হয় যেমনঃ www.blog.example.com এখানে (blog) হল একটি সাবডোমেইন।

ccTLD Domain কি?

ccTLD এর পূর্নরুপ হল Country code top level domain.অর্থ্যাৎ যখন আপনার ডোমেইনের এক্সটেনশন কোন দেশকে টার্গেট করবে। সেই ডোমেইনকে বলা হয় ccTLD Domain.

যেমনঃ (.bd)= Bangladesh, (.pk)= Pakistan, (.us)= United States (.uk)= United Kingdom ইত্যাদি।

এক্সপায়ার্ড ডোমেইন কি?

কোন একটা সময়ে যদি কেউ ডোমেইন কিনে থাকে। এবং সেই ডোমেইনটি নিয়ে যদি সেই ব্যাক্তি কোনো কাজ করে। এবং একটা সময় সময় যদি সেই ব্যক্তি উক্ত ডোমেইনটি আর রিনিউ না করে।তাহলে সেই ডোমেইনটিকে এক্সপায়ার্ড ডোমেইন বলা হয়।

Http ও https এর মধ্যে পার্থক্য?

https পূর্ণরুপ হল Hypertext Transfer Protocol Secure অর্থাৎ https হচ্ছে http এর Secure Version বলা হয়ে থাকে। অতএব HTTPS এর শেষে ‘S’ দ্বারা বোঝানো হয় যে এই ওয়েবসাইটটি SECURE বা নিরাপদ।

আর https আপনার ব্রাউজার আর ওয়েবসাইটের মাঝে সকল যোগাযোগ Encrypt করে। যা SSL (Secure Sockect Layer) ব্যবহারের দ্বারা ব্রাউজার এবং সার্ভারের মাঝে ইনক্রিপ্টের মত তথ্য বা ডেটা স্থানান্তর করে থাকে।

যার ফলে সার্ভার এবং ব্যক্তির মাঝে যে ডেটা বা তথ্য থাকে তা অন্য কেউ জানতে পারে না। আর তাই কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে ভিজিট করার সময় URL বা লিঙ্কের শুরুতে দেখতে হবে https আছে কিনা।

যদি থাকে তার মানে এই ওয়েবসাইটটি আপনার ডেটা SSL (Secure Sockect Layer) দিয়ে নিরাপদ করা আছে। আপনার ব্রাউজারের ADDRESS বারে URL এর বাম দিকে সবুজ রঙের একটি তালা আইকন দেখতে পাবেন।

আর সেই তালা আইকনে ক্লিক দেওয়ার পর SECURE লেখা দেখা যাবে। তার মানে সেই ওয়েবসাইট SSL দ্বারা সুরক্ষিত করা আছে। আশা করা যায় যে http এবং https এর মাঝে কি কি পার্থক্য বুঝতে পেরেছেন।

www মানে কি?

www এর মানে হল ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (world wide web) যা ডোমেইনের সাথে ব্যবহার করা দেখা যেত। আমরা ছোট থাকতে কোন ওয়েবসাইট ভিজিট করার সময় www লিখে তার পর যে ওয়েবসাইটে যাব তার নাম লিখতাম।

তবে অনেক ব্লগে www সম্পর্কে যা বলা হয়েছে তা হলো, পুরো পৃথিবীর মানুষকে একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে ভিতরে প্রবেশ করানোর জন্য www ব্যবহার করা হয়েছিল।

কারন আমরা মনে করতাম www মানেই ইন্টারনেটের কিছু একটা হবে। সে জন্য ডোমেইনের আগে www ব্যবহার করা হত। তবে এখন আর www লেখা দরকার হয়না।

তবে ডোমেইনের শুরুতে www যে ব্যবহার করতেই হবে। এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আপনি ডিরেক্ট ডোমেইনের নাম ব্যবহার করে যে কোন ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারবেন।

ডোমেইন নেম এ www থাকে কেন?

ডোমেইন নামের পূর্বে আপনাকে যে www ব্যবহার করতে হবে এটি আসলে কোন বাধ্যতামূলক বিষয় নয়। কিন্তু কেন আসলে এই www ব্যবহার করা হয়।

এটির একটি কারণ হল আপনি পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে কোন ঝামেলা ছাড়া আপনি ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারবেন। www পূর্ণরুপ হল World Wide Web বা (www) ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব।

ডোমেইন নেম কিনতে হয় কেন?

প্রত্যেকটি ডোমেইন নেমকে ডিএনএস এর মাধ্যমে রেজিস্টার্ড বা নিবন্ধিত করতে হয়। যা একটি স্বতন্ত্র বা ইউনিক আইপি অ্যাড্রেস দ্বারা সংবলিত ডোমেইন নেম চিহিৃত করে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটে নিজস্ব বা স্বতন্ত্র ঠিকানা তৈরির জন্য ডোমইন নেম কিনতে হয়।

ডোমেইন এর কাজ কি?

ডোমেইন নেম কেন ব্যবহার করা হয় বা এর কাজ কি আসলে আপনি যদি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান তাহলে পুরো বিষয়টি আপনাকে বিস্তারিত বুঝাতে হবে।

প্রথমত আপনি যদি একটু চিন্তা করেন সারা বিশ্বের কম্পিউটার একে অপরের সাথে কানেক্টেড হয় একটি গ্লোবাল নেটওয়ার্ক ক্যাবলের মাধ্যমে যাকে আমরা ইন্টারনেট হিসেবে জানি।

আর প্রতিটি কম্পিউটারকে আইডেন্টিফাই করার জন্য একটি করে ইউনিক আইপি ব্যবর করা হয়ে থাকে। আর আইপি সংখ্যাটা একটু বড় হয়ে থাকে যার কারণে মনে রাখতে কষ্ট হয়।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায় যে 192.157. 1.96 হল একটি আইপি অ্যাড্রেস এর উদাহরণ। তাহলে খুব সহজেই বোঝা যায় যে এই আইপি এড্রেসটি মনে রাখা একটুও কষ্ট দায়ক ব্যাপার।

আর তার জন্যই এই ডোমেইন নামের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে খুব সহজে আপনি মনে রাখতে পারেন। এবং পরবর্তী সময়ে আপনি সেখানে ভিজিট ও করতে পারেন।

ডোমেইনের মূল কাজ হল খুব সহজেই ওয়েবসাইটকে সনাক্ত করা। এই পৃথিবীতে যত ওয়েবসাইট রয়েছে তার প্রত্যেকটি আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করার জন্য মূলত ডোমেইনের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

কোন প্রতিষ্ঠান সারা বিশ্বের সকল আইপি এড্রেস ও ডোমেইন নেম নিয়ন্ত্রণ করে?

সারা পৃথিবীতে যত আইপি অ্যাড্রেস এবং যত ধরনের ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে এগুলো যারা পরিচালনা করে সেই সংগঠনের নাম হল Internet Assigned Numbers Authority বা (IANA)। আর এই সংগঠনটি মূলত নন প্রফিট একটি কর্পোরেশন।

ডোমেইন নেম অদ্বিতীয় আসলে কি বলা হয়?

এর সহজ উত্তর হচ্ছে আপনি কখনোই একটি ডোমেইনের দুটি ওয়েবসাইট দেখতে পাবেন না। ডোমেইনের নাম অনুসারে আইপি অ্যাড্রেস হয়ে থাকে এবং সেই ip-adress ধরে কিন্তু আমরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে থাকি।

এখন যদি দুটি ওয়েবসাইটের নাম একই হয়ে থাকে। তবে তার আইপি অ্যাড্রেস একই হবে। আর যখনই আমরা ইন্টারনেটে নির্দিষ্ট আইপি লিখে সার্চ করব সার্চ ইঞ্জিন নিজেও বুঝবেন যে কোন ওয়েবসাইটে সে আমাদেরকে দেখাবে।

যার ফলে আমাদের অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। আর এজন্যই প্রতিটি ডোমেইনের আইপি আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। যার জন্যই বলা হয়ে থাকে ডোমেইন নেম অদ্বিতীয়।

জাপান দেশের নামের ডোমেইন কোনটি?

.jp হচ্ছে জাপানের জন্য ইন্টারনেট কান্ট্রি কোড টপ-লেভেল ডোমেইন (ccTLD)। এটি জাপান রেজিস্ট্রি পরিষেবা দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

প্রতিষ্ঠার সময় .jp ডোমেইন, ডোমেনটি JPNIC দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল। জাপানে ইন্টারনেটের জন্য একটি প্রযুক্তিগত সংস্থা হিসাবে তাদের ভূমিকার অংশ হিসাবে কাজ করছে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যবহৃত টপ লেভেল ডোমেইনের নাম কি?

আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য কোন ডোমেইন ব্যবহার করা হয়। এটি লিখে অনেকেই গুগলে সার্চ করেন তৈরির সহজ উত্তর হল আপনার .edu এক্সটেনশন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। যোগ্যতাসমূহঃ ২৯ অক্টোবর, ২০০১ থেকে, শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা বিভাগের জাতীয়ভাবে স্বীকৃত।

স্বীকৃত সংস্থার তালিকায় একটি সংস্থার দ্বারা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত পোস্ট ও সেকেন্ডারি প্রতিষ্ঠান এবং সংস্থাগুলোই একটি এডু ডোমেনের জন্য আবেদন করার যোগ্য।

Sharing Is Caring:

এই ওয়েবসাইটি মূলত প্রযুক্তির খবর, ব্যাংক ও বিমা, পড়াশোনা, টিপস এন্ড ট্রিকস, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Leave a Comment