কিভাবে কন্টেন্ট তৈরি করতে হয়

কন্টেন্ট লেখা হল এক ধরণের আর্ট। আমরা সাধারণত ওয়েব পেজ বা হোমপেজের মধ্যে যে লেখাগুলো পড়ে থাকি তাকে কন্টেন্ট বলে। একজন কন্টেন্ট রাইটারের সফলতা আসে তার লেখা কতজন ভিজিটরকে আকর্ষন করছে তার উপর।

যদি আপনার লেখা আকর্ষিত না হয়। তাহলে মানুষ আপনার লেখা কখনো কেউ পড়বে না। আপনি একটা বিষয় চিন্তা করুণ আমরা যখন নিউজ পেপার অথবা অন্য কোন আর্টিকেল পড়ি। তখন প্রথম থেকে শেষ পযর্ন্ত পড়ি না।

কন্টেন্ট

শুধুমাত্র প্রথম পেজটি স্ক্যান করি। আর যে হেডলাইন বা টপিকগুলো আকর্ষণ করে সেগুলো পড়ি। একটা ওয়েব পেজে ঢুকে আমরা ঠিক একই কাজ করে থাকি। বইয়ের মতো পুরো পেজটা পড়ার ধৈর্য্য আমাদের থাকে না।

তাই শর্টকাটে হেডলইনটা পড়ে ঠিক করি যে পুরো লিখা পড়ব কি না? আর ঠিক এজন্য একজন কন্টেন্ট রাইটারের উচিৎ সুন্দর ও চমৎকার হেডলাইন দিয়ে শুরু করা।

তাছাড়া আরো অনেক জিনিস আছে যেমনঃ লিস্ট, বুলেটিন, লাইন হায়লাইট ও সারাংশ ইত্যাদি ভিজিটরদের বেশি আকর্ষণ করে থাকে। হেডলাইনের সাথে সাথে একটা ওয়েবসাইটের হোমপেজকে সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো হতে হয়।

যাতে সহজে পুরো ওয়েবসাইটের কোথায় কোন জিনিস আছে সহজে বুঝা যায়।এবং একজন ভিজিটর যেন সকল লিংক সহজে খুঁজে পেতে পারে। একজন কন্টেন্ট রাইটারের যেসব বিষয়গুলোর দিকে খেয়াল রাখতে হবে সেগুলো হচ্ছেঃ

  • মেইন পেজ বা হোমপেজ যেন সহজে স্ক্যানেবল হয় তার দিকে খেয়ার রাখা।
  • বেশি রঞ্জিত কালার ব্যবহার না করাই শ্রেয় ও সাধারণ ভাষায় উপস্থাপন করা।
  • ভিজিটরের আকর্ষণ ও টপিকের দিকে খেয়াল রেখে সর্বদা হেডিং বানাতে হবে।

সাবলিল টেক্স ফরমেট ব্যবহার করতে হবে। সর্বদা ইটালিক টেক্স ফরমেট এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা। মোটকথা আপনার কন্টেন্ট হতে হবে সাবলিল ভাষায় ও তথ্যবহুল।

কন্টেন্ট এর মধ্যে সরাসরি মূল পয়েন্টে আসতে হবে। খুব বেশি ভনিতা করা যাবে না। এতে ভিজিটর মিসগাইড হতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন লেখাটি যথাসম্ভব সাধারণ করা।

Table of Contents

কত শব্দের মধ্যে ব্লগ পোস্ট লিখতে হয়?

ব্লগপোস্ট বা কন্টেন্ট লেখা হয় ভিজিটরদেরকে বিভিন্ন তথ্য দেওয়ার জন্য। কোন একটি টপিকের উপর বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। আর ব্লগপোস্ট লেখার সময় লেখককে খেয়াল রাখতে হবে।

যেন টপিকের কোন বিষয় বাদ না পড়ে। টপিকের সম্পর্কে পুরো ক্লিয়ার ধারণা পাঠক পাচ্ছেন কি না তার খেয়াল রাখতে হবে। গুগল শুধুমাত্র কনটেন্ট এর শব্দ সংখ্যার উপর ভিত্তি করে র‌্যাংক করায় না।

অনেকগুলো সুচককে বিবেচনা করে কনটেন্ট র‌্যাংক করানো হয় যেমনঃ বাউন্সরেট, ইউজার এক্সপেরিয়েন্স, কন্টেন্ট কোয়ালিটি ইত্যাদি। অধিকাংশ কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের মতে কন্টেন্ট এর শব্দসংখ্য ৮০০-১০০০ এর উপরে হলে র‌্যাংক করা খুব সহজ হয়।

কন্টেন্ট তৈরি করায় সময় কন্টেন্টকে কিছু প্রশ্ন করবেন যেমনঃ
– কাকে বলে?
–কেন?
–কি?
– কিভাবে

এই কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলে আপনার কনটেন্ট তৈরি। কন্টেন্ট এর শব্দসংখ্যা নিয়ে একদম কখনো চিন্তা করবেন না। উপরের প্রশ্নগুলো খেয়াল করবেন।

আমার মতামত হণ শব্দসংখ্যা সর্বনিম্ন ৫০০-৬০০ হলে গুগলে র‌্যাংক করানো জন্য যথেস্ট। একটা বিষয় নতুনদের ভিতর থাকে যে, যত শব্দসংখ্যা হবে পোস্ট তত র‌্যাংক করবে। আসলে এটা একেবারেই একটি ভ্রান্ত ধারণা।

সাধারণত কনটেন্ট লেখা হয় মানুষের জন্য, কম্পিউটারের জন্য নয়। তাই ইউজারা যদি পড়ে বিরক্তবোধ করে তবে সেই পেজ কখনো গুগলে র‌্যাংক করবে না। এখন আপনার মনে একটা প্রশ্ন আসতে পারে যে গুগল কিভাবে বুঝবে কনটেন্ট ইউজারের জন্য সঠিক হয়েছে কি না বা হয়নি!

অবশ্যই বুঝতে পারবে, কিভাবে বুঝবে? পাঠকের কন্টেন্ট ভাল না লাগলে দ্রুত সাইট হতে বের হবে। তে আপনার সাইটের বাউন্সরেট বেড়ে যাবে। তাছাড়াও আপনার সাইটের লিংকে ঐ ব্যক্তি আর ঠুকতে চাইবে না।

এতে সহজেই গুগল আপনার কনটেন্ট এর কোয়ালিটি সম্পর্কে আন্দাজ করতে পারবে। যার ফলে সেই পেজকে দ্রুত ডিমোশন করবে।

পরিশেষে বলব কন্টেন্ট লেখার সময় শব্দসংখ্যা নয় বরং পাঠকের দিকে নজর দিন। এতে ইউজার কনটেন্ট ভালোবাসলে গুগল আপনাকে দ্রুত র‌্যাংক করাবে। আসলে কনটেন্ট লেখা একটি অভ্যাসের ব্যাপার। আপনি প্রতিদিন লিখতে থাকুন দেখবেন একসময় খুব ভাল লেখকে পরিণত হয়েছেন।

শর্ট ও সরাসরি বক্তব্য দেয়া কি?

একটা বাক্যে একটা বা সর্বোচ্চ হলে দুইটার বেশি আইডিয়া না দেয়া। এর বেশি হলে ভিজিটর কনফিউজ হবে। তারা মূল জিনিস খুঁজে পাবে না। জটিল বাক্যের কারণে সহজ কথা জটিল হতে পারে।

আকর্ষিত হেডলাইন ব্যবহার করা কি?

সমস্ত পেজের একটা সামারাইজেশন কয়েক ওয়ার্ডে বর্ণনা করা। এছাড়াও অনেক বড় পেজ হলে ছোট ছোট পেজে ভাগ করে নিন। এরপর কিছু সাব হেডলাইন ব্যবহার করুন।

কিওয়ার্ড বাছাই করা কি?

কিওয়ার্ড হল একটা কন্টেন্ট এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু। পেজটা কি বিষয় সম্পর্কিত? এই পেজ দ্বারা কি করা হয় সবকিছুর উত্তরেই এই কিওয়ার্ড। পেজ টাইটেলে অবশ্যই পেজের ফোকাস কিওয়ার্ড রাখতে হবে।

হাইপারলিংক কি?

হাইপারলিংক পেজের বামপাশে এলাইন করা অনেক ভাল। সাইটের পেজের ভিতর লিংক দেয়ার সময় লিংক স্প্লিটার ব্যবহার না করা শ্রেয়। এবং লিংকে অদৃশ্য করার চেষ্টা না করা।

জটিলতাহীন ভাষা ব্যবহার কি?

কনটেন্ট এর সুস্পষ্ট ও ক্লিয়ার হতে হবে। লেখাটি পাঠকের দিকে খেয়াল রেখে লিখতে হবে। লেখকের দিকে নয়।অপভাষা ব্যবহর করবেন না। আপনার পেজেটির কালার এবং ডিজাইন আকর্ষিত করবেন।

লেখা প্রকাশিত হওয়ার পর লিংক নিয়মিত ক্লাইন্টদের কাছে দিবেন। এখান থেকে কিছু ভিজিটর পেয়ে যাবেন। পেজটি গোছালো ও শিক্ষণীয় করে তুলবেন।

কন্টেন্ট নির্বাচিত বা Select করার প্রক্রিয়া (Process) কি?

কন্টেন্ট লেখার ও প্রকাশ করার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং কাজ হল কন্টেন্ট নির্বাচিত করা। একজন কন্টেন্ট রাইটারের অনেকগুলো বিষয়ের দিকে খেয়াল রেখে কন্টেন্ট সিলেকশন করতে হয়। ভালোভাবে কন্টেন্ট সিলেক্ট করার কিছু সহজ ষ্টেপ দেয়া হল যেমনঃ

আপনি যে টপিকে লেখবেন সেই টপিক অনুযায়ী একটি কন্টেন্ট নিন। কন্টেন্টি নিয়ে পুনরায় চিন্তা ভাবনা করুন। মুক্ত চিন্তা করে দেখুন পেজটি কি বলছে। এবার স্ট্রাকচার ও লেখার কৌশলের দিকে খেয়াল করুন।

খুঁজে বের করুন কোন সাইট বা অর্গানাইজেশনেরর সাথে মিলছে কি না। একজন মানুষকে খুঁজুন। যিনি ভিজিটরের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে দেখে মতামত দিবেন।

এরপর তার মতামতের সাথে মিলিয়ে দেখুন আপনি যেটা বুঝাতে চান সেটা আপনার কন্টেন্ট এর মধ্যে ফুটে উঠেছে কি না? যদি না ওঠে পুনরায় চিন্তা ভাবনা করে বিবেচনা করুন।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের তালিকা করুন যেমনঃ কি, কেন, কে। এবার আপনার লিখিত কন্টেন্ট এর টপিককে প্রশ্নগুলো করে দেখুন যে সঠিক উত্তর পান কি না? না পেলে পুনরায় চিন্তা ভাবনা করুন।

এরপর আপনার কন্টেন্ট পড়ে চিন্তা করুন ভিজিটর কি ধরনের প্রশ্ন করতে পারে। এবার লেখার ভিতর বা শেষে প্রশ্নোত্তর পর্বে তার তালিকা বা লিস্ট দান করুন।

অবশ্যই প্রশ্নোত্তর পর্বটি দিন এবং লিস্ট আকারে দিবেন। এরপর আপনার লেখাটি পুনরায় বিবেচনা করুন এবং সংশোধন করে কাট, পেস্ট, রিরাইট ও এডিট করুন।

আগের লেখাটির সাথে মিলিয়ে দেখুন আপনার লিখার মান আরো উন্নত হয়েছে কি না তা যাচাই ও বাচাই করুন। নতুন লেখাটি ভাল করে পড়ুন। কোন কিছু বাদ পড়ছে কিনা গভীরভাব চিন্তা করুন।

নিজের কাছে প্রশ্ন করে দেখুন। আপনি সকল ষ্টেপ সঠিকভাবে ফলো করেছেন কি না। আপনার প্রশ্নোত্তর ও লেখাটি স্টেটফরোয়ার্ড এবং পরিষ্কার হয়েছে তো।

আপনি কি সরাসরি ভিজিটরদেরকে সঠিক তথ্য বা উপাত্ত দিয়েছেন। লেখাটি নিয়ে স্যাটিসফাইড? এরপর সকল অপ্রয়োজনীয় ফাইল মুছে ফেলুন। আসলে একজন ভিজিটর আপনার লেখাটি পড়বে তথ্য বা উপাত্ত সংগ্রহ করার জন্য।

তাই তাকে সেই টপিক সম্পর্কিত সকল ইনফরমেশন সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে দেয়ার চেস্টা করতে হবে। এতে ভিজিটর খুশি থাকবে আপনার লেখার প্রতি। এটাই সকল রাইটারের একমাত্র কাম্য হওয়া উচিত।

কিওয়ার্ড বাছাইকরণ প্রক্রিয়াগুলো কি কি?

একটি কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনেরর কাছে কতটা গুরুত্ব পাবে তা নির্ভর করে কিওয়ার্ড বাচাইয়ের উপর। কোন ভিজিটর কোন ওয়ার্ড বা বাক্য লিখে সার্চ করলে, সার্চ ইঞ্জিন খুঁজে দেখে কোন কোন আর্টিকেলের ভিতর এই শব্দগুলো আছে।

আর যেসকল আর্টিকেলের ভিতর এই শব্দগুলো থাকবে সেই আর্টিকেলকে ভিজিটরের ভিজিটের জন্য সার্চ ইঞ্জিন সাজেশন দিবে। ফলশ্রুতিতে ভিজিটর তার প্রত্যাশিত ইনফরমেশন না পাওয়া পযর্ন্ত আর্টিকেল দেখেতে থাকবে।

তাহলে আপনাকে খুজে বের করতে হবে যে ইউজার কি কি ‍ওয়ার্ড দ্বারা সচারচার সার্চ করে থাকেন। ইউজারের সার্চকৃত শব্দ আপনার আর্টিকেলের মধ্যে না থাকলে আপনার আর্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন কখনো সাজেস্ট বা র‌্যাংক করাবে না। এতে আপনি ভিজিটর হারাবেন বা পাবেন না।

কিওয়ার্ড বাছাইয়ের নিয়ম বা গাইডলাইন কি কি?

কিওয়ার্ড হল বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরের সমাহার। পেজটা কি? বা পেজটা কি কাজের জন্য তৈরি করা হয়? সাধারণত সার্চ করার সময় মানুষ কিওয়ার্ড টাইপ করে। সার্চ ইঞ্জিন সেই সমস্ত পেজ খুজে বের করে যেগুলোর কিওয়ার্ড সার্চকৃত কিওয়ার্ড এর সাথে মেলে যায়।

সার্চইঞ্জিন একটি সামারি তৈরি করে কিওয়ার্ডের আশপাশের শব্দ নিয়ে। সামারিটি সার্চ রেজাল্ট হিসেবে উপস্থাপন করে থাকে। ভাবুন আপনার পেজটি পাওয়ার জন্য টার্গেটেড অডিয়েন্স কি কি শব্দ বা ওয়ার্ড দ্বারা সার্চ করতে পারে।

কোন ওয়ার্ড তাদের সামনে আপনার পেজটি আনতে সহায়তা করবে। ক্ষেত্র বিশেষে আপনার টার্গেট করা কিওয়ার্ড ব্যবহার করা। আপনার টার্গেট করা কিওয়ার্ড তাদের কিওয়ার্ড নাও হতে পারে।

সবসময় স্পেসিফিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করা শ্রেয়। এতে আপনার কম্পিটিটর কম হবে। পেজটি দ্রুত গুগলে র‌্যাংক করবে। সুন্দর ‍কিওয়ার্ড বাছাইয়ের জন্য আপনি ইন্টারনেটের বিভিন্ন টিউটোরিয়াল দেখতে পারেন।

কিওয়ার্ড হল ওয়েব কন্টেন্ট এর প্রাণ। আর এটি আপনাকে আপনার অডিয়েন্স এর কাছে পৌছানোর সবচেয়ে ভাল পথ বা রাস্তা। আর কিওয়ার্ড বাছাইয়ের ক্ষেত্রে আপনাকে মনোযোগী হতেই হবে।

হেডলাইন তৈরির গাইডলাইন কি কি?

কন্টেন্ট পড়ার আগে সর্বদা হেডিং পড়া হয়। আপনার টাইটেল বা হেডলাইন দেখে একজন ইউজার ক্লিক করবে কি না তা ঠিক করেন। মানুষেরা সাধারণত বইয়ের কভার দেখে যেমন বই বিচার করে, তেমনিভাবে ভিজিটররা ওয়েবসাইটের পোস্টর টাইটেল দেখে।

টাইটেল বা হেডলাইনটি যদি আকর্ষণীয় হয়। তবে সহজে একজন ব্যবহারকারী আপনার লেখাটি পড়বে।অনেক গবেষক জানিয়েছেন যে সুন্দর একটি টাইটেল ৭০% ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে সক্ষম হয়।

আপনার ব্যবসায় ব্লগের সফলতার জন্য সুন্দর টাইটেল নির্বাচন করা অপরিহার্য। সুন্দর ও আকর্ষণীয় টাইটেল অথবা হেডলাইন তৈরি করার জন্য নির্দিষ্ট বাধা ধরা কোন নিয়ম নেই।

আমরা অনেক রিসার্চ পেপার ঘাটাঘাটি করে কিছু সহজ নিয়ম তুলে ধরলাম যেমন জনপ্রিয় হেডিং এর সূত্র হলঃ (নম্বার + বিশেষণ + কিওয়ার্ড+…) আসলে হেডিং ভিজিটরের কাছে আকর্ষণীয় করতে নম্বরের কোন বিকল্প নেই।

তাই কিওয়ার্ড না দিলে সার্চইঞ্জিন আপনার কন্টেন্ট ভিজিটরের কাছে পৌঁছে দিবে না। তাই কিওয়ার্ড ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অনেকগুলো টাইটেল তৈরি করুন

যেমন একটা কন্টেন্ট লিখার আগে বা পরে আপনি টাইটেল নিয়ে অনেক চিন্তা করেন, লেখেন না, লিখতে হবে। আপনার মাথায় যতগুলো টাইটেল আসে তা লিখে নিন। এরপর যাচাই বাছাই করে একটি দিন।

কিওয়ার্ড ব্যবহার

আমি আগেও আপনাদেরকে বলেছি কিওয়ার্ডের কথা। আপনি যদি ব্লগার হন তবে হয়তো কিওয়ার্ড রিসার্চ করে থাকবেন। কিওয়ার্ড রিসার্চের মাধ্যমে প্রাপ্ত কিওয়ার্ড অবশ্যই টাইটেলে ব্যবহার করতে হবে।

এটি আপনাকে টার্গেটেড অডিয়েন্স এর কাছে সহজে পৌছে দিবে। এবং এটা অনেক এসইও (SEO) ফ্যাক্ট।এছাড়াও ক্লিয়ার ‍হেডিং ব্যবহার করা। যা পড়ে আপনার অডিয়েন্স বুঝতে পারে যে আপনার কনটেন্টটা কি বিষয়ে এবং কেন তারা এটি পড়বে।

তারা পড়ে ‍কি কি সুবিধা পাবে। আর এই সবকিছু উত্তর যদি আপনার টাইটেল দিতে পারে। তবে সেটা সার্থক টাইটেল হিসেবে স্বীকৃতি পায়। টাইটেলকে সবসময় ইউনিক বা একদম আলাদা রাখার চেষ্টা করবেন।

ব্লগের জন্য সুন্দর ইমোশনাল হেডিং তৈরি করতে হবে। যা দেখে ভিজিটর সহজে পোস্টটি পড়ার জন্য খুব আগ্রহ প্রকাশ করবে। ইমোশনাল হেডিং সহজে তৈরির জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার পাওয়া যায়। সেগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

সাবহেডিং তৈরি করা

ব্লগ পোস্টের বিন্যাস বা Formatting অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ হল অধিকাংশ ইউজার প্যারাগ্রাফের ফরমেটিং দেখে কন্টেন্টকে বিচার করে। একটা ব্লগ পোস্ট মূলত বড় প্যারাগ্রাফ হয়।

বড় লেখা পড়তে মানুষ সাধারণত ভয় পেয়ে থাকে। তাই সবসময় ছোট ছোট প্যারায় সাবহেডিং এর মাধ্যমে ভাগ করে দিলে ভয়টা কাজ করে না। অনেক সময় সাবটাইটেল পড়ে ইউজার বুঝতে পারে ভিতরে কি বলা রয়েছে।

মূল হেডিং এর মতো ব্লগপোস্টের জন্য কিছু সাবহেডিং ব্যবহার করবেন। মূল হেডিং এর মতো এত বিচার করে সাবহেডিং বা Subtitle দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এখানে শুধুমাত্র ভিতরে কি বলা সেটা হেডিং আকারে লিখলেই কাজ শেষ।

আর প্যারাগ্রাফটি কি সম্পর্কে তা ছোট লাইন আকারে একবাক্যে লিখখবেন। তবে সাবহেডিং টি যেন শ্রুতিমধুর হয়। একটু ইমোশন দিয়ে লেখা যাতে মানুষ পড়তে খুব আগ্রহ প্রকাশ করে।

ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ (Shorter Paragraph)

কনটেন্ট একটা বড় প্যারাগ্রাফ। যেখানে সাধারণত একটি বিষয়ের বিস্তারিত ধারণা দেওয়া থাকে। যাতে প্রতিটি পাঠক লেখা পড়ার আগে একবার স্ক্যান করে দেখে কি আছে। ছোট ছোট ব্লক আকারে লিখলে পাঠক সহজে বুঝতে পারে।

ও পড়ার প্রতি খুব আগ্রহী হয়। তাছাড়া কেউ বড় লেখা পড়ে তেমন মজা পাই না। ছোট ব্লক আকারে পড়লে অনেক মজা পায়। তাছাড়া যে ব্লক টা ভালো লাগে না। তাহা সহজে এড়াতে পারা যায়।

আমি তো নিজেই বড় প্যারাগ্রাফ দেখলেই পড়ি না। কারণ হল দেখলে মনে হয় এতো বড় লেখা পড়ব কখন। আমি বিশ্বাস করি আপনিও সেটাই ভাবেন। আসলে এখানে ভাবার কোন দরকার নেই কত শব্দের মধ্যে প্যারাগ্রাফ লিখব।

এর তেমন কোন বাধা ধরা কোন সংখ্যা নেই। আপনার যত ইচ্ছা তত লিখতে পারেন। বড় প্যারাগ্রাফকে খন্ড খন্ড করে নিন। সব এক প্যারায় না লিখে দুই এক লাইন করে নিয়ে এক এক প্যারা গঠন করবেন।

এতে করে লেখা ছোট ছোট ব্লকে ভাগ হয়ে যাবে দেখতে ও সুন্দর দেখাবে। আশা করা যায় যে পাঠকের চোখে সহজে ধবরে ও পড়বে। এবং আপনি একজন সফল ব্লগার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবেন।

বুলেট লিস্ট

সত্যি কথা বলতে কি আমদের মাস্তিষ্ক সমতল বা একধালা লেখা পড়তে খুব অনাগ্রহী হয়ে থাকে। অধিকাংশ সময় মানুষ সময় বাচানোর জন্য শর্টকাট খোঁজে থাকে। তারা চায় শুধুমাত্র কাজের অংশটুকু যেন পড়বে।

আসলে পাঠকদের সহজে পড়ার সুবিধা করে দেয়ার দায়িত্ব হল আপনার। তাই বিশেষ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বুলেট লিস্ট বা তালিকা আকারে দিয়ে দিন।

অনেক সময় দেখা যায় আপনার বড় অদরকারী কথা পড়তে পড়তে তারা আসল জিনিসটাকর মিস করতে পারে। তাই সবসময় আসল পয়েন্টকে আলাদা গুরুত্ব দিতে বুলেট লিস্ট ব্যবহার করা যায়।

আকর্ষণীয় ছবি

ইংরেজিতে “A picture worth thousand words” এর অর্থ হল একটি ছবি ১০০০ শব্দের থেকে খুবই মূল্যবান। আসলে ব্লগপোস্ট শুধুমাত্র শব্দের হয় না। এখানে ছবি ব্যবহার করলে নতুন মাত্রা যোগ হয়।

কন্টেন্টকে সুন্দর ও ভিজ্যুয়াল করার জন্য শব্দের কোন জুড়ি নেই। চলুন জেনে নেই কি কি কারণে আমরা কন্টেন্ট-এর মধ্যে ছবি দিতে পারি তা হলঃ

ভিজ্যুয়ালাইজেশন

কনটেন্ট এর সবকিছু লিখে প্রকাশ করার পাশাপাশি ছবি দিলে পাঠকদের বুঝতে সুবিধা হয়। আর ছবিটি অবশ্যই কনটেন্ট এর সাথে সম্পর্কযুক্ত হতে হবে।

অনেক সময় দেখা যায় আমরা ‍“Related post” or “popular post” এ ছোট থাম্বনেইল বা ছবি পোস্টিং দেখতে আগহ তৈরি করি। এতে সাইটের বাউন্সরেট বেশি হয়।

সোস্যাল মিডিয়া ট্রাফিক

বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইটে সোস্যাল মিডিয়া থেকে প্রচুর ভিজিটর আসে। তাছাড়া সোস্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট বেশি পছন্দ। কন্টেন্টে এ ছবি থাকলে তারা বেশি আকর্ষিত হয়। ভাল ছবি থাকলে ভিজিটররা কনটেন্ট শেয়ার করে।

সাইজ বৃদ্ধিতে

ছোট কয়েক লাইনের কনটেন্টে ছবি ব্যবহার করলে কনটেন্ট এর আকার বড় দেখায়। আবার কন্টেন্ট এর বিষয় বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করা যায়। ছবি ব্যবহারের আরো অনেক ধরনের উপকার রয়েছে।

তবে ছবি আপলোপ করার সময় কয়েকটি বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হয়। কপিরাইট ফ্রি ছবির ব্যবহার করতে হবে। ছবিকে রিসাইজ করে নেয়া। বিভিন্ন ছবির সাইজ ভিন্নরকম হয়।

তাই আপনার ব্লগসাইটের মতো করে রেশিও রিসাইজ করুন। অনেক সময় দেখা যায় ছবির সাইজ অনেক পিক্সেল হয়। যার কারণে পেজ লোড নিতে অনেক সময়ে নেয়। যা সাইটের র‌্যাংক এর উপর খারাপ প্রভার ফেলে।

তাই ছবিটি কম্প্রেস করে সাইজ কমিয়ে ফেলুন। ছবিতে অবশ্যই অল্টার টেক্সট বা Alt text ব্যবহার করুন। সত্যি কথা বলতে কি বেশি বেশি ট্রফিকের জন্য ভাল কনটেন্ট লেখার জুড়ি নেই।

আর ভাল কনটেন্টে ছবির কোন বিকল্প নেই। ব্লগপোস্ট আকর্ষণীয় করার জন্য ছবি একটি বড় হাতিয়ার। এই হাতিয়ার হাতছাড়া করার কোন মানেই হয় না।

ইমেজ এর ক্যাপশান

ছবি বা ভিডিও যোগ করার মাধ্যমে ব্লগ পোস্টে ভিন্ন মাত্রা যোগ করা যায়। তবে ছবিটা কি সম্পর্কে তা সঠিকভাবে বর্ণনা করে ছবির ক্যাপশন দেওয়া উচিত।

পোস্ট রিলেটেড ছবি ব্যবহার করে, ছবিতে কি প্রদর্শিত হচ্ছে তা ভিজিটরের নিকট খুব সহজে বর্ণনা করার মাধ্যম ছবির ক্যাপশন দেওয়া। ছবির ক্যাপশন ওয়েবসাইটে অল্টার ট্যাগ বা Alt tag নামে পরিচিত হয়।

তাছাড়া ছবি সার্চ ইঞ্জিন গুলো পড়তে পারে না বা কি আছে তা সম্পর্কে অবগত নয়। ক্যাপশনের মাধ্যমে ছবিটিতে কি আছে সেটি সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে বলে দেয়া হয়। কেউ যখন গুগলে সার্চ করে তখন ছবিটাকে ফলাফল হিসেবে সার্চ ইঞ্জিন দেখায়।

অল্টার ট্যাগ এ সঠিকভাবে অপটিমাইজ করা হলে এসইও (SEO) এর ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়। তাছাড়া কোন বিষয় সার্চ করা হলে সাজেশনে আপনার ব্লগের ছবি প্রদর্শিত হতে পারে।

ভিডিও-এর ব্যবহার

মানুষের কাছে ভাব প্রকাশের অনেক মাধ্যম রয়েছে যেমনঃ ভিডিও, লেখা, ছবি, অডিও, ইশারা-ইজ্ঞিত ইত্যাদি। এগুলো মধ্যে ভিডিও সবচেয়ে শক্তিশালী একটি মাধ্যম। দর্শকদেরকে কোন বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে ভিডিও এর বিকল্প নেই।

কারণ হল ভিডিওর ভিতরে অডিও, ছবি, ইশারা অর্থাৎ ভাব প্রকাশের সকল উপাদানগুলো উপস্থিত থাকে।এজন্য সবার কাছে ভিডিও এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সার্চ ইঞ্জিনগুলো Google, Yahoo, Bing তাদের সার্চের ফলাফলে ভিডিও থাকা কনটেন্টকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।

কনটেন্ট লেখার পাশাপাশি ভিডিও থাকলে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে। এ সুযোগ কখনো হাতছাড়া করবেন না। সম্ভব হলে অবশ্যই কনটেন্ট এর মধ্যে ভিডিও যোগ করুন।

কনটেন্ট এ ভিডিও দেয়ার সময় কিছু টেকনিক ব্যবহার করুন?

HD quelity ভিডিওর ব্যবহার করবেন। পরিষ্কার বা ক্লিয়ার ভয়েজ ব্যবহার করুন। ‍ভিডিওটি নিজের সার্ভারে না রেখে YouTube এর মধ্যে রাখুন। এতে হোস্টিং খরচ কমবে। তাছাড়া ভিডিওটি ট্রাস্টেড সাইটে থাকার কারণে গুগল আপনার সাইটকে বিশ্বাস্ত মনে করবে।

ভিডিওর লোডিং টাইম কম হবে। এসব কথা মাথায় রেখে পরের বার কন্টেন্ট-এ ভিডিও রাখার বিষয়টি চিন্তা করুন। ভাল একটি ভিডিও ব্লগসাইটকে এগিয়ে রাখবে এটা আমার গ্যারান্টি দেওয়া যেতে পারে।

টেবিল কনটেন্ট এর ব্যবহার?

টেবিল কনটেন্ট কি?

টেবিল কন্টেন্ট হল বইয়ের সুচিপত্রের মতো। সকল কন্টেন্ট এর হেডিংসহ লিংক এক জায়গায় রাখা। যাতে পাঠক সহজে সমস্ত কনটেন্ট এর কোথায় কি আছে সহজে জানতে পারে।

সহজে তার পছন্দের বিষয় পড়তেও পারবে। অনেক সময় দেখা যায় কনটেন্ট বড় হওয়ার কারণে মানুষ পড়তে অনাগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। তাছাড়া হয়তো তার পুরো জানার দরকার নাও থাকতে পারে।

একটা নির্দিষ্ট বিষয় জানার জন্য ব্লগটি পড়তে আসে। অনেক বেশি লেখার কারণে বিরক্ত হয়ে ফিরে যায়। আপনার বাউন্স রেট অনেক বাড়ে।

এটা এড়ানো সবচেয়ে ভাল উপায় হতে পারে টেবিল কনটেন্ট এর ব্যবহার। এতে পাঠক শুধুমাত্র তার পছন্দ বা দরকারী লেখা সহজে খুজে পাবে এবং সেটা সহজে পড়তে পারবে।

টেবিল কন্টেন্ট ব্যবহার করার কারণে লিংক বিল্ডিং করা সহজ হয়। টেবিল কনটেন্ট হল অনেক দরকারী একটি জিনিস। আপনার থিমে যদি টেবিল কনটেন্ট অপশন না থাকে। তাহলে ডেভলপার দ্বারা এটা করিয়ে নিন।

মোটা ও ইটালিক অক্ষর

মোটা অক্ষর যাকে ইংরেজিতে আমরা বোল্ড বা Bold text বলই। প্রশ্ন হল কোন লেখাকে বা কোন বাক্যকে কেন বোল্ড করা হয়? আপনি ঠিক ধরেছেন, সেই বাক্যকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বোঝাতে বোল্ড করা হয়।

তবে ইটালিক অক্ষরও মূলত একই কাজে ব্যবহার করা হয়। আবার উপরে আলোচিত হাইলাইটিং কালার ও লেখার ভিতর একই কাজ করা হয়ে থাকে। আসলে এগুলো ব্যবহার করার উদ্দেশ্য কোন প্যারা, বাক্য বা অক্ষরকে বিশেষ ভাবে চিহ্নিত করা।

যাতে করে পাঠককে সেটা পড়তে উৎসাহিত করা হয়।এখানে একটা বিশেষ দিকে নজর রাখা উচিৎ। সেটা হল সবকিছু ভাল কিন্তু অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়।

তাই অপ্রয়োজনীয় জিনিসকে বিশেষভাবে হাইলাইট করার জন্য এগুলো ব্যবহার করবেন না। এতে ভিজিটর বিরক্ত হবে। তাছাড়া এটা লেখার মানকে নষ্ট করে দিবে।

বিশেষ ফন্ট

আমাদের চারপাশে বিভিন্ন রকমের ফন্টের ব্যবহার দেখে থাকি। কিছু বাংলা বা ইংলিশ ফন্ট যেগুলো সত্যিই দারুন আকর্ষণ করে আমাদের সবার। সুন্দর ও গোছালো জিনিস সবারই পছন্দ। ঠিক ফন্টের ক্ষেত্রেও বিষয়টা অন্যরকম নয়!

সুন্দর গুছালো ফন্ট পাঠককে আরো পড়তে অনেক উৎসাহিত করে। ব্লগিং যেহেতু লেখা বেস একটি প্লাটফর্ম। তাই এখানে লেখার সৌন্দর্য অনেকটাই জরুরি হয়। এক্ষেত্রে বিশেষ বিশেষ ফন্টের ব্যবহার অনেক এগিয়ে রাখে।

আমি প্রিমিয়াম ফন্ট ব্যবহার করার পরামর্শ কখনো দিব না। এটার দরকার তেমন পড়বে না। ফ্রিতে অনেক সুন্দর সুন্দর ফন্ট পাওয়া যায়। তার মধ্যে হতে পছন্দমতো একটি ফন্ট বাছাই করুন ও আপনার ব্লগে ব্যবহার করুন।

হাইপার-লিংক

ব্লগিং এর সাথে জড়িত সবাই কমবেশি হাইপার লিংক শব্দটির সাথে পরিচিত। যারা ব্লগিং করে কমবেশি লিংক শেয়ার করে থাকেন। আমরা অনেক সময় কনটেন্ট এর মধ্যে অনেক বেশি লিংক দিয়ে থাকি।

বিভিন্নভাবে এবং এটা করা খুব জরুরিও বটে। কিন্তু সেটা সঠিকভাবে না করতে পারলে কন্টেন্ট এর মান খুবই বাজে হবে। তাই লিংক শেয়ার করার সময় বিশেষ কিছু বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখব।

যেমন লেখার মাঝে কোথাও খোলা লিংক ব্যবহার না করা যেমনঃ যথাসম্ভব ব্লগের কনটেন্ট গুলোতে লিংক দেয়া। বাইরের লিংক কম দেয়া। লিংক দেওয়ার সময় ক্লিক বেস শব্দের মাধ্যমে দেয়া।

লিংককৃত শব্দটিতে হাইলাইট করা যাতে পাঠক সহজে ক্লিক করতে পারে। আশা করি উপরের বিষয়গুলো খেয়াল রেখে লিংকিং করবেন। লেখার মধ্যে অবশ্যই লিংক শেয়ার করবেন।

এতে পাঠক আরেকটা কনটেন্ট পড়তে বেশি আগ্রহী হবে। সাইটে বেশি বেশি সময় কাটাবে ও সাইট সহজে গুগলে র‌্যাংকিং পেজে চলে আসবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য লিংকিং পদ্ধতি অনেক ইফেক্টিভ।

এটা ৯০%-৯৫% কাজে দেয়। তাই লেখার ভিতর কমপক্ষে ২ থেকে ৩ টি লিংক দেয়ার চেষ্টা করবেন। খুব বেশি পরিমাণ লিংক শেয়ার করবেন না। অতিরিক্ত লিংক লেখার মানকে খারাপ করে। পাঠকের মনে খারাপ প্রভাব ফেলবে।

হাইলাইটিং কালার

কনটেন্ট লেখার সময় সবার বুঝার সুবির্থে অনেক উদাহরণ ধরনের দিতে হয়। যেটা লেখার কিছুটা কম গুরুত্ব বহন করে থাকে। অনেক সময় পাঠকদের মূল পয়েন্ট বুঝতে অসুবিধা হয়।

তাই কনটেন্ট এর মূল পয়েন্ট না ধরতে পারলে পাঠকের কোন লাভ হয় না। এতে পাঠক বিরক্ত হয়ে ওয়েবসাইট থেকে ফিরে যায়। পাঠক যাতে লেখার মূল বিষয়টি থেকে বঞ্চিত না হয়।

সেজন্য হাইলাইটিং কালার ব্যবহার করা যেতে পারে। হাইলাইটিং কালার দ্বারা কোন লেখাকে বিশেষভাবে চিহ্নিত করা হয়। সহজে যেন পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যায়। তার জন্য হাইলাইটিং কালার ব্যবহার করা হয়।

অনেকসময় প্লেন টেক্সট বা plaintext পড়তে পড়তে বিরক্তবোধ করি। তাই এ বিরক্তি দূর করার জন্য হাইলাইটিং কালার খুব কাজে দেয়।

কনটেন্ট লেখার সময় সুযোগ পেলেই সেখানে হাইলাইটিং কালার ব্যবহার করতে পারেন। যাতে পাঠকের মন কাড়া লেখা লিখতে এর চেয়ে সহজ ও সুন্দর কোন বিকল্প হয় না।

রিপিটেশন না করা

রিপিটেশন হল মুদ্রাদোষের মতো একটি বিষয়। একই কথা বারবার লেখাকে রিপিটেশন বলা হয়।আপনার লেখার ভিতর একটি বিষয় নিয়ে বারবার আলোচনা করা হলে বা একই কথা বারবার বললে কারও সে বিষয়টি ভাল লাগে না।

একজন হিউম্যান হিসাবে আমার মনে হয়না বিষয়টি কেউ পছন্দ করবে? তাই লেখার সময় এই বিষয়টির দিকে বিশেষভাবে নজর দিবেন। একই লেখা অপ্রয়োজনে বারবার কখনো লিখছেন না তো? লিখে থাকলে সেটা পরিহার করার চেষ্টা করুন।

আমার মনে হয় পাঠকের কাছে যত বিরক্তকর বিষয় আসে তার ভিতর অন্যতম হল রিপিটেশন। লেখার ওয়ার্ড বাড়ানো বা যেকোন কারণে এটা করে থাকলে তা পরিহার করবেন।

পাঠক যদি বুঝতে পারে আপনার স্বার্থে তার সময় নষ্ট করছেন তাহলে আর আপনার সাইটের ভিজিট করবে না। তাই এখন থেকে সাবধান হবেন।

ক্যাটাগরি নির্ধারণ

ওয়েবসাইটে অনেক ধরনের পোস্ট করা হয়। ক্যাটাগরি করে দিলে ভিজিটর সহজে বুঝতে পারবে যে সেই রিলেটেড পোস্ট সহজে খুঁজে পাবে।

সারাংশ (Sammerize) দেয়া

সামারাইজ করা মানে হল কোন বড় লেখাকে সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ করার একটি পদ্ধতি। ওয়েবসাইটে লেখা কিন্তু উপন্যাস বা গল্পলেখার মতো নয়। কারণ হল পাঠক গল্প পড়ে মজা নেয়ার জন্য।

সবাই ওয়েবসাইটে মজা নেয়ার জন্য পড়ে না। কেউ কেউ শুধুমাত্র ইনফরমেশন নেওয়ার জন্য ব্লগ পড়ে থাকেন। যারা বিনোদনের জন্য পড়ে তাদের জন্য লেখা বড় হলে অনেক ভাল হয়।

কিন্তু ব্যস্ত মানুষের কথা মাথায়ও রেখেও ওয়েবসাইটে লিখতে হয়। যেহেতু পোস্টে টপিকের পুরোটা বোঝানোর দিক মাথায় রেখে লেখা হয়। তাই শুধু মাত্র ইনফরমেশন দিলে সবাই বোঝে না।

এতে লেখা অনেক বড় হবে। যারা শুধুমাত্র ইনফরমেশন পেলেই বুঝতে পারে। এবং শর্টে পড়তে চায় তাদের জন্য পুরো লেখার সামারাইজ করে নিচে দিতে হবে।

লেখা সামারাইজ করে দিলে সবার জন্যই উপকার হবে। আর যাদের ধৈর্য্য কম ও কম পড়তে ভালবাসে তারাও খুশি হয়। আবার যারা সমস্তটা বুঝার জন্য পড়েছে তারা সামারাইজ পড়ে মূল পয়েন্ট সহজে মনে রাখতে পারে।

সামারাইজ সকল পাঠকদের খুশি করে, যা লেখকের একমাত্র উদ্দেশ্য। আমরা ব্লগলেখার পরে সামারাইজ করে দেব।

সামারাইজ করার সময় কি কি বিষয়ের দিকর খেয়াল রাখতে হবে?

যথেষ্ট ছোট করে সামারাইজ তৈরি করতে হবে। সামারাইজ করার ক্ষেত্রে অবশ্যই মূল বিষয়ের প্রতিফলন ঘটাতে হবে। সামারাইজ মূল পোস্টের এক-তৃতীয়াংশের কখনো বড় হবে না।

রেফারেন্স দেয়া

রেফারেন্স হল আপনার প্রদত্ত তথ্যের উৎস বলে দেয়া। ওয়েবসাইটের পোস্ট যারা পড়বে তারা অধিকাংশ আপনার অপরিচিত, এটাই স্বাভাবিক। মানুষ তার হাতে গোনা কিছু মানুষ ছাড়া কাউকেই বিশ্বাস করতে চাই না।

সেখানে আপনি তাদের পরিচিত নন। তাহলে তারা আপনাকে কেন বিশ্বাস করবে। তাছাড়া আপনার লেখার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এটা কোন অস্বাভাবিক বিষয় নয়। কারও মনে সন্দেহ তৈরি হতেও পারে।

আপনার ইনফরমেশন এর সত্যতা বুঝানো জন্য বিভিন্ন উৎসের উল্লেখকরা একান্ত জরুরী। এই তথ্যের উৎসের উল্লেখকে ইংরেজিতে রেফারেন্স বলে। বাংলায় এটাকে অনেকে দলিল বলে।

রেফারেন্স দিলে পাঠকের অনেক উপকার হয়। এটি ব্লগের ইমেজকে অনেক উন্নত করে। প্রকৃতপক্ষে সবার জন্যই উপকার।

পরিশেষে বলা যায় যে কনটেন্ট লেখা হল এক ধরনের আর্ট। যা আপনি একদিনে শিখতে পারবেন না। দিন যত যাবে আপনার লেখার মান তত উন্নত হবে। যার ফলে দেখা যাবে যে আপনি এক সময় সুন্দর কনটেন্ট তৈরি করতে পারবেন।

Sharing Is Caring:

এই ওয়েবসাইটি মূলত প্রযুক্তির খবর, ব্যাংক ও বিমা, পড়াশোনা, টিপস এন্ড ট্রিকস, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Leave a Comment