কনটেন্ট রাইটিং কি | কন্টেন্ট রাইটিং শেখার উপায়

কনটেন্ট হল কোন নির্দিষ্ট বিষয়কে তথ্যসহ তুলে ধরার মাধ্যম। অথবা কন্টেন্ট হল কোন নির্দিষ্ট বিষয়ের তথ্য বা উপাত্তকে বোধগম্য করার একটি নমুনা। সেটা হতে পারে কোন টেক্সট কনটেন্ট, ইমেজ কনটেন্ট, ভিডিও কনটেন্ট, পিপিটি কনটেন্ট, ডক ফাইল ইত্যাদি অনেক ধরনের কন্টেন্ট ই হতে পারে।

কন্টেন্ট রাইটিং

তবে ডিজিটাল মার্কেটিং এর জন্য ভিডিও কনটেন্ট, ইমেজ কনটেন্ট সব থেকে বেশি জনপ্রিয়। তাই আমাদের উচিৎ এই কন্টেন্ট গুলোকে কিভাবে আকর্ষণীয় করে তুলব সেটা জানা।

Table of Contents

ভাল কনটেন্ট কি?

ভাল কনটেন্ট বলতে বুঝায় আপনার কনটেন্ট টি অরিজিনাল, কার্যক্ষম এবং আপনার কোন প্রশ্নের উত্তর দেয় এমন। একটি ভাল কনটেন্ট অবশ্যই হতে হবে সঠিক উৎসযুক্ত, ১০০% ইউনিক, সংক্ষিপ্ত, ব্যাকরণগতভাবে সঠিক এবং সুন্দরভাবে সাজানো।

ডিজিটাল কনটেন্ট কি?

ডিজিটাল কনটেন্ট হল ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য, ছবি, শব্দ কিংবা ভিডিও।

ডিজিটাল কন্টেন্ট কত প্রকার ও কি কি?

ডিজিটাল কন্টেন্ট চার প্রকারঃ

  • Audio content
  • Video content
  • Text content
  • Image content

Audio content কি?

অডিও কনটেন্ট হল ভয়েস বা শব্দের উচ্চারণ এর মাধ্যমে তৈরি বা রেকর্ড করা কনটেন্ট। যেমনঃ podcast, FM ইত্যাদি।

Video content কি?

ভিডিও কনটেন্ট হল ভিডিওর মাধ্যমে তৈরি করা কনটেন্ট। যেমনঃ YouTube video, web series, movies ইত্যাদি।

Text content কি?

টেক্সট কনটেন্ট হল যে কনটেন্ট গুলোকে লেখনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়। যেমনঃ article, books ইত্যাদি।

Image content কি?

ছবি এডিটিং করে তৈরি করা বিষয়বস্তু গুলোকে ইমেজ কনটেন্ট বলা হয়। যেমনঃ logo, templates, graphics ইত্যাদি।

কন্টেন্ট রাইটিং এর ক্ষেত্রে আমরা যেহুতু লেখনের ব্যবহার করে বিষয়বস্তু গুলোকে লিখে থাকি। তাই এক্ষেত্রে আমাদের সরাসরি টেক্সট কনটেন্ট এর ব্যবহার করতে হয়।

কনটেন্ট রাইটিং কি?

কনটেন্ট রাইটিং হল ইন্টারনেটে অবস্থিত লেখা অথবা ঐ লেখাকে সম্পাদন (Edit) করার একটি প্রক্রিয়া। যা সাধারণত ডিজিটাল কনটেন্টের জন্য লেখা হয়। যেমনঃ ডিজিটাল মার্কেটিং, ব্লগ পোস্ট, আর্টিকেল ইত্যাদি।

সহজ ভাষায় কনটেন্ট রাইটিং বলতে আপনি যে আর্টিকেলটি পড়েছেন এটি একটি কন্টেন্ট। আর যখন আপনি এই কনটেন্ট টি লিখবেন। তা হল কনটেন্ট রাইটিং। যারা কনটেন্ট গুলো লিখে তাদেরকে কনটেন্ট রাইটার বলা হয়।

সাধারণত আমরা যেকোন ওয়েবসাইট ভিজিট করলেই দেখতে পাই বিভিন্ন ধরনের লেখা। আর ওই লেখাগুলো কনটেন্ট রাইটারের দ্বারাই লেখা হয়ে থাকে। আমাজন, ফ্লিপকার্ট ছাড়াও সমস্ত ওয়েবসাইট কন্টেন্ট লেখার জন্য কন্টেন্ট রাইটার ব্যবহার করে থাকে।

এছাড়া নিউজ চ্যানেলের যে ওয়েবসাইট গুলো থাকে তা কন্টেন্ট রাইটারের দ্বারাই লেখা হয়। কারণ হল নিউজ চ্যানেলে দিনে প্রচুর খবর লেখা হয়। আর সেগুলো একজনের দ্বারা লেখা সম্ভব নয়। এজন্য নিউজ চ্যানেলে সব থেকে বেশি কন্টেন্ট রাইটারের প্রয়োজন হয়।

কন্টেন্ট রাইটিং কত প্রকার?

কন্টেন্ট রাইটিং এর জন্য আলদা কিছু প্রকারভেদ আছে। যেমন ইন্টারনেটে এমন প্রচুর প্লাটফর্ম আছে যেখানে বিভিন্ন রকমের কন্টেন্ট পাবলিশ করা হয়।

ফলে বিভিন্ন প্লাটফর্মের চাহিদা অনুসারে বিভিন্ন রকমের কন্টেন্ট তৈরি করা হয়। একজন কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে আপনি নিজের রুচি মতো আলদা আলদা ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন যেমনঃ

  • Blogging writing
  • Copy writing
  • Social media writing
  • News writing
  • Creative writing
  • Expert writing

Blogging writing কি?

এখানে সরাসরি কিছু বিষয়ের উপার বিস্তারিতভাবে আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হয়। মূলত শর্ট বা লং তথ্য বহুল দুই ধরনের আর্টিকেল বা কন্টেন্ট লেখা হয় ব্লগিং এর জন্য।

Copy writing কি?

কপি রাইটিং মূলত একটি কোম্পনির মার্কেটিং বা প্রচার করার জন্য এই ধরনের কন্টেন্ট লিখতে হয়। এই আর্টিকেল লেখার মুল উদ্দেশ্য হল ব্র্যান্ডের গুণমান সম্পর্কে মানুষের মাঝে প্রচার করে কেনার আগ্রহ বাড়িয়ে তোলা।

Social media writing কি?

একটি কোম্পানি তাদের প্রডাক্ট বা সার্ভিস প্রচার বা মার্কেটিং করার জন্য অনলাইনে ব্র্যান্ড তৈরি করে। সোশ্যাল মিডিয়াতে পেজ বা গ্রুপ তৈরি করে ছোট ছোট মজার আকর্ষণীয় কন্টেন্ট লিখেন বা পাবলিশ করে থাকে।

News writing কি?

নিউজ রাইটিং নিউজ এর সাথে জড়িত সকল খবর গুলো লেখা হয়। এখানে ছোট ছোট শর্ট আর্টিকেল হিসাবে দৈনন্দিন জীবনের ঘটনা বলি নিয়ে লেখা হয়ে থাকে। বিভিন্ন ধরনের অনলাইন নিউজ, সোশ্যাল মিডিয়া নিউজ পেজ, নিউজ ওয়েবসাইট গুলোতে নিউজ রাইটিং করা হয়ে থাকে।

তাছাড়া বর্তমান সময়ে অনলাইন ব্যবসা গুলোর প্রচার, ব্র্যান্ডিং, বা মার্কেটিং করার উদ্দেশ্যে এই ধরনের কন্টেন্ট রাইটিং প্রচুুর পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। আর তাই আপনি নিজের পছন্দমত এ বিষয়ে কন্টেন্ট রাইটিং করতে পারবেন।

Creative writing কি?

যে লেখার মাধ্যমে একজন রাইটার নিজের ক্রিয়েটিভি প্রদর্শন করে থাকে সেই রাইটিংকে ক্রিয়েটিভ রাইটিং বলে।

Expert writing কি?

একজন বিশেষজ্ঞ রাইটাররা যখন যেকোন বিষয়ে রিচার্স করে সম্পূর্ন ডিটেলস সহ লেখেন তখন তাকে এক্সপার্ট রাইটিং বলা হয়।

কনটেন্ট রাইটিং এর ব্যবহার কোথায়?

অনেকেই মনে করেন যে কনটেন্ট রাইটিং শুধুমাত্র ওয়েবসাইট ব্লক পোস্টের মধ্যে লেখা। অথবা কোন অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটে লেখা হয়। অনেকেই আবার মনে করেন কনটেন্ট রাইটিং শুধুমাত্র ওয়েবসাইটের মধ্যে লেখাকেই content writing বলে।

কিন্তু তা আসলে ঠিক নয়। কন্টেন্ট রাইটিং এর প্রয়োজন বিভিন্ন জায়গায় হয়ে থাকে সেগুলো হলঃ

  • ভিডিও এর স্ক্রিপ্ট (অর্থাৎ ভিডিওতে যা বলা হবে সেগুলো লেখা হয়)।
  • বিভিন্ন প্রোডাক্টের মার্কেটিং এর জন্য
  • অথবা বিভিন্ন কারণে যে ইমেইল পাঠানো হয়।
  • সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট লেখা।
  • ওয়েবসাইটের মধ্যে লেখা।
  • স্ক্রিপ্ট রাইটিং।
  • কোন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ও কন্টেন্ট রাইটিং এর দরকার হয়।

একজন কন্টেন্ট রাইটারের কী ধরনের দক্ষতা ও জ্ঞান থাকতে হব?

  • বাংলায় লিখতে চাইলে বাংলা ভাষা ও ব্যাকরণের উপর ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
  • ইংরেজিতে লিখতে চাইলে ইংরেজি ভাষা ও ব্যাকরণের উপর ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
  • কোন বিষয় নিয়ে গবেষণা করার দক্ষতা থাকতে হবে।
  • টেকনিক্যাল বিষয়ে লিখতে হলে সে বিষয়ের উপর দীর্ঘমেয়াদি পড়াশোনা থাকা প্রয়োজন। যেমনঃ
  • ইতিহাসের ছাত্র হয়ে থাকলে মেডিকেল প্রযুক্তি নিয়ে লেখা আপনার জন্য খু কষ্টসাধ্য হবে।
  • লেখার ভেতর বৈচিত্র্য নিয়ে আসতে পারা কনটেন্ট রাইটারের অন্যতম গুণ।
  • অনলাইনে কাজ করার জন্য কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (যেমনঃ ওয়ার্ডপ্রেস) আর সার্চ ইঞ্জিন
  • অপটিমাইজেশন বা এসইও (SEO) নিয়ে ভালো ধারণা থাকলে আপনার গ্রহণযোগ্যতা অনেক গুণ বেড়ে যাবে।
  • সঠিক বানানে দ্রুত লেখার অভ্যাস।
  • সহজেই বোঝা যায় এমনভাবে লেখার ক্ষমতা থাকতে হবে।

কিভাবে কন্টেন্ট রাইটিং শিখবেন?

কন্টেন্ট রাইটিংয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রচুর অধ্যাবসায় করা, গবেষণা করা আর লেখালেখি নিয়ে চর্চা করা। লেখার মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে চাইলে বিভিন্ন লেখকের ও বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়ার অভ্যাস করতে হবে।

কাজ শেখার জন্য ইন্টারনেট হল অন্যতম একটি মাধ্যম। বর্তমানে বিভিন্ন অনলাইন লার্নিং প্ল্যাটফর্ম (যেমনঃ Coursera) লেখালেখির উপর বিভিন্ন ফ্রি অনলাইন কোর্স ও সার্টিফিকেট দিয়ে থাকে।

এছাড়া আউটসোর্সিং সম্পর্কিত বিভিন্ন ডিপ্লোমা কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে।

কনটেন্ট রাইটিং এ কত ইনকাম?

প্রচুর মানুষ আছে যারা কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ করেন। এবং এর মাধ্যমে প্রচুর আয় করে থাকেন। অনেকেই প্রশ্ন থাকতে পারে…

কত টাকা ইনকাম করা সম্ভব কনটেন্ট রাইটিং করে?

আপনি যদি প্রথমে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করেন। তাহলে খুব বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন না। তবে ধীরে ধীরে যত আপনার অভিজ্ঞতা বাড়বে সেই সঙ্গে আপনার পরিচিতি বাড়বে। তখন আপনার লেখার মানও বাড়বে সাথে সাথে দাম বাড়বে।

কনটেন্ট রাইটিং করে কয়টি উপায়ে ইনকাম করা যায়?

কনটেন্ট রাইটিং করে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেন একটি হল কোন কোম্পানিতে কাজ করা। অপরটি হল ফ্রিল্যান্সিং কাজ করা। আপনি যদি নতুন কনটেন্ট রাইটার হন। তবে আপনার কোন কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকে।

তাহলে প্রথমে ৬০০০ থেকে ৮,০০০ টাকার মতো পাওয়া যেতে পারে। কিংবা এর থেকে একটু বেশি পেতে পারেন। ধীরে ধীরে আপনার যত অভিজ্ঞতা বাড়বে। আপনার ইনকাম ততই বাড়বে।

দুই থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কনটেন্ট রাইটার ৪০ থেকে ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন পেতে পারে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এ রাইটিং করেন। তাহলে আপনার ইনকামের কোন সীমা।

অর্থাৎ ফ্রীলান্সিং এ আপনি যত কাজ করবেন। সেই অনুযায়ী টাকা ইনকাম করা সম্ভব হবে। একজন নতুন কনটেন্ট রাইটার যদি ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ইনকাম করতে চায়।

তাহলে নতুন অবস্থায় বেশি কাজ পাবে না। সেই সঙ্গে বেশি দামও পাওয়া যায় না। কারণ নতুন অবস্থায় কেউ কাজ দিতে চায় না। ধীরে ধীরে যত অভিজ্ঞতা বাড়বে এবং পরিচিতি যত হবে।

কাজ তত বাড়বে, ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে ততই বেশি কাজ পাওয়া যায়। সেই সাথে ইনকাম ও বেশি হবে।একজন ফ্রিল্যান্সার প্রথমে যখন কাজ করেন তখন ২৫ পয়সা প্রতি ওয়ার্ড লেখার জন্য পেতে পারে।

যদিও এর থেকেও কম দামে অনেকেই কাজ করে নিতে চায়, কিন্তু আপনার এগুলো পরিত্যাগ করা উচিত। সেই সঙ্গে ২৫ পয়সা ওয়ার্ড দামটি সব রকম আর্টিকেলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। কিছু কিছু আর্টিকেল লেখার জন্য ৩০ থেকে ৪০ পয়সা নেওয়া সম্ভব।

এটা নির্ভর করে কোন বিষয়ে আপনি আর্টিকেল লেখছেন। আর একজন অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার এক টাকা, দুই টাকা, তিন টাকা, এমনকি ৪ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে প্রতি ওয়ার্ড লেখার জন্য।

তবে একটি কথা মনে রাখবেন যদি বাইরের দেশের জন্য যদি গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লেখেন। তাহলে আরো বেশি চার্জ করা সম্ভব।

কনটেন্ট রাইটিং কাজ কিভাবে পাবেন?

বিভিন্নভাবে আপনি কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ পেতে পারেন। তবে এর মধ্যে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ পাবার সুযোগ গুলো আপনাদের বলবো সেগুলো হলঃ

  • ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে
  • জব ওয়েবসাইট থেকে
  • ফেসবুক গ্রুপ থেকে

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ পাবেন?

ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট থেকে আপনি সহজেই কিছু টিপস্ খাটিয়ে কাজ পেতে পারেন। এর জন্য আপনাকে ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে নিজের কাজের Gigs বানাতে হবে।

জব ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং কাজ পাবেন?

জব ওয়েবসাইট গুলোতেও প্রচুর ফ্রিল্যান্সিং কনটেন্ট রাইটার জন্য কাজ দেওয়া থাকে। চাইলে আপনি আবেদন করে দেখতে পারেন।

ফেসবুক গ্রুপ থেকে কিভাবে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ পাবেন?

ফেসবুকে কনটেন্ট রাইটিং এবং ব্লগিং সম্বন্ধিত অনেক গ্রুপ আছে। এ সকল গ্রুপে আপনি জয়েন হতে পারেন। এরপর ওখানে আপনি কাজের জন্য পোস্ট করতে পারেন।

অথবা অন্যান্য ব্লগারের পোস্টের নীচে কমেন্ট করতে পারেন যে যে আপনি একজন কনটেন্ট রাইটার এবং কাজ করতে ইচ্ছুক। এভাবে ফেসবুকের মাধ্যমে অনেকেই কাজ পেয়ে থাকে তাই আপনিও চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

সাবধানতা

অনেক সময় দেখা যায় যে, অনলাইনের মাধ্যমে আমরা অনেক আর্টিকেল লেখার জন্য কাজ পেয়ে থাকি। কিন্তুু অনেক সময়ই কাজ করার পর টাকা পাওয়া যায় না।এরকম অনেকের সাথে ঘটেছে।

দেখা যায় অনেকেই আছেন যারা একমাস কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করেও, এক টাকাও পায়নি। আর এরকম সমস্যা আপনার সঙ্গেও হতে পারে। যাতে না হয়, সেজন্যই আমি কিছু টিপস দিচ্ছি যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

কনটেন্ট রাইটিং এ প্রতারণা থেকে রক্ষার টিপস?

যদি কোন ফেসবুকে অথবা অনলাইন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম আপনাকে কনটেন্ট রাইটিং এর কাজ দেয়। তাহলে ওই কাজটি করার জন্য উনাকে আপনার ফ্রিল্যান্সিং সাইটের Gigs টি শেয়ার করবেন এবং উনাকে বলবেন যে ঐখান থেকেই কাজের জন্য আপনাকে কাজটি যেন দেন।

এতে করে উনাকে কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সিং সাইটে টাকা দিতে হবে। যার ফলে আপনি যখন উনাকে ওই সাইটের মাধ্যমে কাজটি করে দেবেন তখন টাকা পেয়ে যাবেন। এছাড়াও যদি ফ্রিল্যান্সিং সাইট থেকে আপনাকে কাজের অনুমতি না দেয়।

তাহলে আপনি একটি কাজ করে ওই দিনই দিন। ওই কাজটি ওনাকে দিয়ে তখনি টাকা চেয়ে নিন। (এতে যদি আপনি টাকা না পান, তাহলে আপনি মাত্র একটি কাজ করেছেন। তাই তেমন বেশি সমস্যা হবে না।

আর একসঙ্গে বেশি কাজ করে তারপর টাকা চাইলে উনি যদি না দেন তাহলে আপনার অনেক পরিশ্রম বৃথা যাবে। তাই প্রথমে যতটুকু কাজ করবেন ওই কাজের টাকা নিয়ে নেবেন।

তারপর পুনরায় আবার নতুন কাজ করবেন। এছাড়াও অনেকেই আপনাকে ফ্রিতে প্রথম কনটেন্ট লিখে দেয়ার জন্য বলতে পারে। সে ক্ষেত্রে যদি আপনার পোস্টটি কোন বড় ওয়েবসাইটের জন্য লেখা হয়।

এবং যদি আপনার লেখার ক্রেডিট দেওয়া হয়। তাহলে ফ্রিতে কাজ করতে পারেন। কারণ হল বড় ওয়েবসাইট মানে অনেক ভিজিটর ভিজিট করে। সেই ওয়েবসাইট ক্রেডিট দিলে আপনার পরিচিতি অনেক বাড়বে।

এর ফলে পরবতীকালে কাজ পাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। এছাড়া ওয়েবসাইট নতুন এবং খুবই ছোট ওয়েবসাইটের জন্য ফ্রী কন্তেন্ট লিখে তেমন কোন লাভ নেই। এতে আপনার পরিশ্রম শুধু বৃথাই হবে।

একজন কন্টেন্ট রাইটারের ক্যারিয়ার কেমন হতে পারে?

পত্রিকা বা অনলাইন পোর্টালগুলোতে এন্ট্রি লেভেলে কন্টেন্ট রাইটার হিসাবে যোগ দিলে। পরে সিনিয়র রাইটার অথবা সাব-এডিটরের পদে উন্নীত হবেন। সব থেকে ভাল ক্ষেত্রে চীফ এডিটর হিসাবে নিয়োগ পেতে পারেন।

আর অ্যাড এজেন্সিতে কাজ করলে ৪ থেকে ৫ বছর পর মার্কেটিং ম্যানেজার বা সিনিয়র কপিরাইটারের পদ পাবার সুযোগ থাকবে।

সত্যি কথা বলতে কন্টেন্ট রাইটিংয়ে ফ্রিল্যান্সিং করার ক্ষেত্রে পদের কোন বিষয় নেই। তবে পোর্টফোলিও অনেক ভাল হলে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরির সুযোগ আসতে পারে।

পরিশেষে বলা যায় যে ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনেকেই কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করে থাকেন এবং প্রচুর পরিমাণ ইনকাম করেন। এছাড়া একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে কোন কোম্পানিতে কাজ করলেও ভালো বেতন পাওয়া যায়।

আমার মতামত হল আপনি প্রথমে কোন একটি কোম্পানিতে কন্টেন্ট রাইটিং এর কাজ করলে। আপনার অভিজ্ঞতা অনেক বেড়ে যাবে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরিচয় হবে।

এরপর ধীরে ধীরে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। এতে করে আপনি একসময়ে ভাল একটি অবস্থানে যেতে পারবেন।

Sharing Is Caring:

এই ওয়েবসাইটি মূলত প্রযুক্তির খবর, ব্যাংক ও বিমা, পড়াশোনা, টিপস এন্ড ট্রিকস, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Leave a Comment