পেওনিয়ার হচ্ছে একটি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট মাধ্যম। পেওনিয়ার একাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি এক দেশ থেকে অন্য দেশে পেমেন্ট আদান-প্রদান করতে পারবেন। সাধারণত ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে পেওনিয়ার অনেক গুরুত্বপূর্ণ কারণ! অন্য দেশের ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পেমেন্ট নেওয়া যায় পেওনিয়ার এর মাধ্যমে। পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে এই লেখাটিতে আলোচনা করা হবে।
পেওনিয়ার একাউন্ট এর প্রয়োজনীয়তা
পেওনিয়ার হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট আদান প্রদানের মাধ্যম। এই লেখাটির মাধ্যমে আমরা পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং পেওনিয়ার সম্পর্কে একটু বিস্তারিত জানব। এছাড়াও ইউনিয়ন কেন ব্যবহার করবেন এর সুযোগ সুবিধা কি কি সেই সম্পর্কে ধারনা অর্জন করব।
সাধারণত বাংলাদেশ থেকে ফ্রিল্যান্সারদের ক্ষেত্রে পেওনিয়ার বেশি ব্যবহার করা হয়। কেননা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কে খুব সহজেই পেওনিয়ার এর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করা যায়। আপনারা হয়তো জানেন কোন ক্লায়েন্টের সাথে পেমেন্ট আদান-প্রদান করার জন্য ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে প্রয়োজন।
পেওনিয়ার হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত থাকেন, দেশ বিদেশ থেকে টাকা আদান প্রদান করার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনার একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার প্রয়োজন। এই লেখাটিতে আমরা পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করেছি। রেখাটি দেখে খুব সহজেই একটি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে https://www.payoneer.com/ পেওনিয়ার এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে ডান কর্নারে থাকা “রেজিস্টার” বাটনে ক্লিক করে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো যথাক্রমে দিয়ে রেজিস্টার করলে আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।
পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য অবশ্যই আপনার একটি ভোটার আইডি কার্ড এবং ওই আইডি কার্ডের তথ্য অনুযায়ী একটি ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে।
সহজেই পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার পদ্ধতি
আপনি যদি একজন ফ্রিল্যান্সার হয়ে থাকেন কিংবা দেশ ও দেশের বাহির থেকে টাকা আদান প্রদান করতে চান তাহলে পেওনিয়ার ব্যবহার করতে পারেন। পেওনিয়ার হলো একটি ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট আদান-প্রদান গেটওয়ে। পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার জন্য প্রথমে https://www.payoneer.com/ এই লিংকে ক্লিক করে পেওনিয়ারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
এরপরে “Register” বাটনে ক্লিক করুন, এরপরে পেওনিয়ার আপনার কাছে কিছু বেসিক ইনফরমেশন জানতে চাবে। যেমন আপনি কি পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে যাচ্ছেন ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য? নাকি অনলাইন সেলার? আপনি প্রতি মাসে কত টাকা দেশ ও দেশের বাইরে আনুমানিক লেনদেন করতে চান? আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী তথ্যগুলো প্রদান করে NEXT বাটনে ক্লিক করবেন।
এরপরে আপনাদের সামনে পুনরায় “Register” বাটন শো করবে, রেজিস্ট্রেশন করার পরে হলো আপনাদের মূল কাজ। এখান থেকে আপনাকে সিলেক্ট করতে হবে আপনি পেওনিয়ার একাউন্ট কেন খুলার চাচ্ছেন?
যদি আপনি ব্যক্তিগত কাজে পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার চান তাহলে Individual সিলেক্ট করুন, আর যদি ব্যবসায়ী কাজে খোলার চান তাহলে Company সিলেক্ট করে নিচের অপশনগুলো তে First-last Name, Email Address, Re- enter Email Address, Date of Birth যথাক্রমে সঠিকভাবে বসিয়ে দিয়ে NEXT অপশনে ক্লিক করুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:: পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার মধ্যে আপনারা যতগুলো তথ্য প্রদান করবেন তা আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী দিবেন। এবং পেওনিয়ার একাউন্ট এর মধ্যে যেই ব্যাংক একাউন্ট যোগ করবেন ওই অ্যাকাউন্ট যেন আপনার ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্যের সাথে যদি পেওনিয়ার একাউন্টের কোন তথ্যে ভুল থাকে তাহলে একাউন্ট ভেরিফাই হবে না।
NEXT অপশনে ক্লিক করার পরে পরবর্তী পেজে আপনাদের Contact Details প্রদান করতে হবে। যেহেতু আমরা বাংলাদেশ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলতে কি তাই প্রথমে Country বাংলাদেশ সিলেক্ট করে দিব। পরবর্তীতে Address line 1, Address line 2, City/Town, Postal / ZIP code যথাক্রমে ভোটার আইডি কার্ড অনুযায়ী বসিয়ে দিব।
এরপরে আপনার একটি সচল মোবাইল নাম্বার দিবেন। আপনার ওই নাম্বারে ৬-৮ ডিজিটের একটি সিকিউরিটি কোড যাবে ওই কোডটা ফাঁকা ঘরে বসিয়ে দিয়ে NEXT বাটনে ক্লিক করুন। এরপরের পেইজে Username অপশনে আপনার একটি সচল ইমেইল এড্রেস বসিয়ে দিন।
এই ইমেইল এড্রেসটি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট এর ইউজার নেইম হিসেবে কাজ করবে। এরপরে একটি স্ট্রং পাসওয়ার্ড দিয়ে, সিকিউরিটি প্রশ্ন এর উত্তর বসিয়ে দিন। এরপরে যদি আপনি বাংলাদেশ থেকে পেওনিয়ার একাউন্ট খুলেন তাহলে ন্যাশনাল আইডি কার্ড/ ভোটার আইডি কার্ড সিলেক্ট করে সামনের ফাকা বক্সে আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার বসিয়ে দিন।
এরপরে যথাক্রমে নিজের ক্যাপচাটি পূরণ করে NEXT বাটনে ক্লিক করুন। এরপরের ধাপে আপনাকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য ব্যাংক একাউন্ট যোগ করতে হবে। সঠিকভাবে ব্যাংক একাউন্টের সকল তথ্য বসিয়ে দিয়ে SUBMIT বাটনে ক্লিক করার পরে আপনাদের সামনে একটি Congratulation মেসেজ চলে আসবে।
Congratulation মেসেজ আসলে মনে করবেন আপনাদের পেওনিয়ার একাউন্ট খোলা সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে পেওনিয়ার টিম আপনার একাউন্টের সকল তথ্য যাচাই করে Aprooved মেসেজ/ মেইল পাঠিয়ে দিবে। যদি আপনার পেওনিয়ার একাউন্ট সঠিকভাবে খুলতে চান তাহলে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের সাথে মিলিয়ে তথ্য গুলো দিতে হবে।
অথবা ইউটিউবে এই ভিডিওটি দেখে আপনারা সহজেই পেওনিয়ার একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন। ভিডিওটির সম্পূর্ণ ক্রেডিট RealTech Master ইউটিউব চ্যানেল এর।
পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড অ্যাক্টিভ করার পদ্ধতি
পেওনিয়ার এর মাস্টার কার্ড একটিভ করার জন্য অবশ্যই আপনার কোন মার্কেটপ্লেস থেকে প্রেমেন্ট লেনদেন করতে হবে। সাধারণত মার্কেটপ্লেস বলতে বুঝানো হয় – ফাইবার, আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার ইত্যাদি। তবে অন্য কোনো অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা টেনেস্পার করে পেওনিয়ার একাউন্ট একটিভ করতে পারবেন না।
পেওনিয়ার একাউন্ট একটিভ করার জন্য অবশ্যই যেকোনো মার্কেটপ্লেস থেকে পেমেন্ট রিসিভ করতে হবে। একবার একাউন্ট একটিভ হয়ে গেলে পরবর্তীতে যেকোনো পেওনিয়ার একাউন্টে পেমেন্ট ট্রানস্ফার করতে পারবেন।
আশাকরি পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার নিয়ম বুঝতে পেরেছেন। পেওনিয়ার একাউন্ট খোলার পদ্ধতি খুবই সহজ যদি আপনি একটু ভালভাবে লক্ষ করেন।
আরো পড়তে পারেন: পেপাল একাউন্ট খোলার নিয়ম
হাই আমি নাঈম নাফি, শখের বসে লেখালেখি শুরু। নিত্য নতুন প্রযুক্তিগত সমাধান জানার চেষ্টা করি এবং আপনাদের সাথে শেয়ার করি।বর্তমানে কাজ করছি ইউটিউব, ফ্রিল্যান্সিং আর বিগেইনার ব্লগার হিসেবে।