মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়

কথায় আছে Money can buy happiness বেঁচে থাকার জন্য, জীবনযাত্রা পরিচালনার করার জন্য অর্থ এক্ষেত্রে মোক্ষম ভূমিকা পালন করে থাকে। আর তাই এক্ষেত্রে কীভাবে মানুষ রাতারাতি একে অন্যের চেয়ে অর্থ ইনকাম করতে পারবে তা নিয়ে এক অলিখিত দ্বন্দ্ব প্রতিটি মানুষের মাঝে কাজ করে।

ইনকাম

কীভাবে মানুষ অধিক টাকা উপার্জন করতে পারে তা নিয়ে চারদিকে এক প্রতিযোগিতার ছাপ লক্ষ করা যাচ্ছে। আপনি যদি এই অসম প্রতিযোগিতার অংশ হতে চান এবং মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায় জানতে চান।

তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আর তাই বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আজকের আর্টিকেলে।

মাসে ৫০ হাজার টাকা আয় করার উপায়?

অর্থ অনর্থের মূল হলেও বেঁচে থাকার ক্ষেত্রে অর্থই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে কাজ করে থাকে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অর্থ আয়ের দিক থেকে ডিজিটাল প্রোডাক্টকে এসেট হিসেবে বেশি গণ্য করা হচ্ছে। এই প্রোডাক্টগুলো আপনি চাইলে ফিজিক্যালি ইউজ করতে পারবেন না।

তবে এই ধরণের প্রোডাক্ট সেল করে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত মুনাফা অর্জন করতে পারবেন। ডিজিটাল প্রোডাক্টের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে টেমপ্লেট, ই-বুক, প্লাগ-ইন অথবা পিডিএফ। ডিজিটাল প্রোডাক্ট আপনাদের জন্য হাই প্রফিট মার্জিনের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনকাম সোর্স হতে পারে।

এক্ষেত্রে আপনাদের শুধুমাত্র এসেট ক্রিয়েট করতে হবে এবং আপনার অনলাইন বিজনেসের মাধ্যমে তা সেলে কনভার্ট করতে হবে। কোন ধরণের স্টোরেজ অথবা ইনভেন্টরির প্রয়োজন ছাড়াই আপনি এসেট ক্রিয়েট করে তা আপনার অনলাইন ব্যবসায়ের মাধ্যমে বারবার বিক্রি করতে পারেন।

অনলাইন কোর্স

সাম্প্রতিক সময়ে গেল বছরের তুলনায় ই-লার্নিং এডুকেশনের কদর অনেক বেড়েছে। হোক মার্কেটিং, ইলাস্ট্রেশন অথবা এন্টারপ্রেনিয়রশিপ আপনার যে বিষয়ে দক্ষতা থাকুক না কেন আপনি চাইলে আপনার দক্ষতার উপর ভিত্তি করে আপনার এক্সপার্টিজ অনুযায়ী লিমিটেশনের মধ্যে প্রি -রেকর্ডেড কোর্স সেল করতে পারেন।

কোন ধরণের স্টক অথবা ইনভেন্টরি না রেখেই আপনি কোর্স সেল করেই প্রতি মাসেই ৫০ হাজারের বেশি পরিমাণ টাকা উপার্জন করতে পারবেন। তবে অনলাইন লার্নিং এর ক্ষেত্রে আপনাকে আগে কিছু ইনভেস্ট করা প্রয়োজন হবে।

আপনাকে আপনার কোর্সের একটি আউটলাইন ক্রিয়েট করতে হবে এবং সেই সাথে এটি রেকর্ড করতে হবে এবং যাদের কাছে কোর্স সেল করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য অবশ্যই ডাউনলোডযোগ্য টেমপ্লেটের মতো এসেট তৈরি করতে হবে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস পরিচালনা করে?

কোন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসকে এফিলিয়েশনের মাধ্যমে কাস্টমারদের কেনার প্রতি আগ্রহ করে তোলার মাধ্যমকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলা হয়। শুনতে বেশ অবাক হলেও সত্য এটা যে, এই মাধ্যমটি আর্নিং এর খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি সোর্স হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

কারণ যখনি কেউ কোন প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কেনার জন্য কোন রেফারেল লিংক ব্যবহার করে তখন আপনি তা থেকে কমিশন অর্জন করতে পারবেন।

ব্লগার হিসেবে

সাম্প্রতিক সময়ে বেশ জনপ্রিয় একটি পেশা হচ্ছে ব্লগিং। ব্লগিং শুরু করা প্রথমে বেশ চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও সময়ের সাথে সাথে এটি হয়ে উঠবে আপনার ইনকামের একটি অন্যতম উৎস। একটি ব্লগ ক্রিয়েট করা চ্যালেঞ্জিং হলেও আপনি যদি কোয়ালিটি কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে এবং তা আপনার বা যেকোন প্লাটফর্মের মাধ্যমে প্রমোট করেন।

তাহলে আপনি খুব সহজে আয়ের অন্যতম একটি উৎস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে আপনি যেভাবে ইনকাম করতে পারেন। যেমনঃ

  • গুগল এডসেন্স এড রান করে
  • আপনার পোস্ট ক্রিয়েট করে
  • অ্যাফিলিয়েট প্রোডাক্ট সেলিং এর মাধ্যমে
  • আপনার নিজস্ব পণ্য সেল করা

তবে মজার ব্যাপার হল যে, ব্লগিং করতে হলে আপনার কোন ধরণের ডিজাইন স্কিল কিংবা কোডিং স্কিলের প্রয়োজন হবে না।

শুধু কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট এবিলিটির উপর ভিত্তি করে ব্লগিং এর মাধ্যমে আপনি মাসে ৫০ হাজার থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা বেশি পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট বিক্রি করে

মানুষ বরাবরই রুচিশীল হয়ে থাকে। আধুনিকতায় থেকেও মানুষ আঁকড়ে ধরছে শিকড়কে,আঁকড়ে ধরছে নিজের আভিজাত্যকে। আর তাই সবসময় হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।

যদি আপনি হ্যান্ডমেড প্রোডাক্ট ক্রিয়েট করতে পারেন। তাহলে আপনি তা পেইজের মাধ্যমে অথবা এফিলিয়েশনের মাধ্যমে সেল করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন খুবই সহজে।

আমাদের বিনিয়োগ দ্বিগুণ

মৃৎশিল্প বা পোশাকের মতো DIY পণ্য তৈরি এবং বিক্রি করার জন্য আপনাকে কিছু উপকরণ এবং সময় বিনিয়োগ করতে হবে। আপনি আপনার পণ্য রাখার জন্য একটি অনলাইন স্টোরও তৈরি করবেন। আপনার নিজের দোকান থেকে বিক্রি করা প্রতিটি বিক্রয়ে আপনি যে পরিমাণ ফি দিয়ে থাকেন তা হ্রাস করে।

এছাড়াও, আপনি নিজের জন্য একটি সুন্দর ব্র্যান্ড তৈরি করতে পারেন। এটি আপনাকে সময়ের সাথে আরও বেশি বিক্রি করতে এবং অনলাইনে টাকা আয় করতে সহায়তা করবে।

অনলাইনে স্টক ফটো বিক্রি করুন

আপনার যদি থাকে ফটোগ্রাফির প্রতি নেশা কিংবা ঝোঁক আপনি অনলাইনে ফটো বিক্রি করে করতে পারেন। এবং এ থেকে আয়ও করতে পারেন। ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের জন্য আপনাকে অবশ্যই একটি ইভেন্ট কিংবা ফটোশ্যুটে থাকতে হবে।

যাইহোক, যদি আপনি একজন ফুল টাইম ফটোগ্রাফার হন অথবা একটি ভাল ক্যামেরার মালিক হন। তাহলে আপনি অনলাইনে ফটো বিক্রি করে ফটোগ্রাফি থেকে ইনকাম করতে পারেন। শাটারস্টক, পেক্সেল এবং অন্যান্য অনলাইন মিডিয়া হাউসের মতো স্টক ফটো সাইটগুলো হাই কোয়ালিটি ফটো এবং ভিডিওগুলোর জন্য অর্থ প্রদান করবে।

যদি আপনি অর্থ উপার্জনের ক্ষেত্রে কোন যোগ্য মাধ্যম খুঁজে থাকেন। তাহলে আপনি সহজ একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে উঠতে পারেন। একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে উঠতে এমন কেউ যিনি অন্য ব্যক্তির কেনার সিদ্ধান্তগুলোকে প্রভাবিত করতে পারেন।

আপনাকে এমন লোকদের একটি কমিউনিটি তৈরি করতে হবে যারা একই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভাল জানতে পারেন।

আপনি একটি কমিকস ভক্ত?

আপনি একটি Instagram অ্যাকাউন্ট ক্রিয়েট করতে পারেন এবং সর্বশেষ মার্ভেল এবং DC শো সম্পর্কে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করা শুরু করতে পারেন। আপনার আগ্রহ যদি খেলাধুলা, স্কুবা ডাইভিং এবং বাড়ির সাজসজ্জা বা এমনকি সাধারণ সংস্কৃতিতেও থাকে তবে একই কথা প্রযোজ্য হবে।

আপনার যদি একজন নিযুক্ত শ্রোতা থাকে, তাহলে চাইলে আপনি বিভিন্ন প্যাসিভ ইনকাম আইডিয়াকে সমর্থন করতে সেই ব্যস্ততা ব্যবহার করেন।

উদাহরণস্বরূপ, আপনি আপনার অনুসরণকারীদের কাছে তাদের পণ্যগুলো প্রচার করতে ছোট এবং বড় ব্যবসায়ের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পারেন। অথবা আপনি আপনার নিজস্ব পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।

অনলাইনে ডিজাইন বিক্রি করুন?

99ডিজাইন, থিমফরেস্ট কিংবা ক্রিয়েটিভ মার্কেটের মতো ডিজাইন ওয়েবসাইটগুলো অনলাইনে ডিজিটাল ডিজাইন বিক্রি করে একটি প্যাসিভ ইনকাম স্ট্রিম তৈরি করার জন্য দুর্দান্ত জায়গা।

আপনি ওয়েবসাইট থিম, ব্র্যান্ডিং সংস্থান, টেমপ্লেট, লোগো, চিত্র বা এমনকি ফন্ট তৈরি করতে কোনও ওয়েবসাইট নির্মাতা ব্যবহার করুন না কেন এই প্ল্যাটফর্মগুলো একটি অন্তর্নির্মিত বাজার অফার করে যা ইতোমধ্যেই ডিজাইন সংস্থানগুলোর সন্ধান করছে৷

ডিজাইন বিক্রি করার ওয়েবসাইট লিংকঃ

  • ThemeForest
  • 99designs
  • Creative Market

অডিওবুক রেকর্ড করুন?

বর্তমানে আপনি যদি অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে চান তাহলে আপনি অডিওবুক বেছে নিতে পারেন। বর্তমানে সবাই বেশ ব্যস্ত ,তাই আপনি আপনার এক্সপার্টিজ অনুযায়ী যদি আপনি তাদের কাছে অডিও বুক তুলে ধরতে পারেন।

তাহলে আপনি অডিওবুক ক্রিয়েট করতে পারেন। অডিওবুক থেকে সফলভাবে আয় করতে হলে আপনাকে প্রথমে কিছু বিষয় আয়ত্ত করতে হবে। এর মধ্যে শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত। যেমনঃ

  • সঠিক বর্ণনা কৌশল
  • এডিটিং স্কিল
  • কীভাবে অডিশন দিতে হয়
  • আপনি কোন কুলুঙ্গিতে কাজ করবেন

এখানে আপনাকে একা যেতে হবে না। কিছু প্ল্যাটফর্ম শুরু করে সহজ করে ও আপনার প্রথম কয়েকটি গিগ ল্যান্ড করে। শিল্পে এটি তৈরি করতে আপনার কী প্রয়োজন তা জানতে ACX-এর মতো সাইটগুলো পারেন।

শেষকথা, আমি আশাকরি আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনি সম্পূর্ণ বুঝতে পেয়েছেন। এবং আপনি এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। এরকম জানা অজানা তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ ।

Sharing Is Caring:

এই ওয়েবসাইটি মূলত প্রযুক্তির খবর, ব্যাংক ও বিমা, পড়াশোনা, টিপস এন্ড ট্রিকস, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Leave a Comment