ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে

জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে  এবং ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে সংশোধন করবেন সে সম্পর্কে আজকের এই লেখা টি আশাকরি লেখাটি মনোযোগ দিয়ে দেখবেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন

একজন নাগরিক প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পরে  বা একজন নাগরিকের বয়স ১৮  বছর হবার পরে তার সব থেকে মূল্যবান পরিচয় পত্র হল ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র।  আমাদের দেশের নিয়ম অনুযায়ী কোনো নাগরিকের বয়স ১৮ বছর হবার পরে সরকার কর্তৃক তাকে একটি ভোটার আইডি কার্ড প্রদান করা হয়।

ওই ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে সকল নাগরিক সেবা উপভোগ করতে পারে এছাড়াও বিভিন্ন কাজে ভোটার আইডি কার্ডের ব্যবহার হয়ে থাকে।  অনেক সময় আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র ভুল আসে যেগুলো সংশোধন করা খুবই জরুরী।

 না হলে পরবর্তীতে  আমরা ওই আইডি কার্ড দিয়ে যত কাগজপত্র তৈরি করব  মনে করেন আপনি ওই আইডি কার্ড থেকে পাসপোর্ট এর জন্য আবেদন করেছেন তাহলে পাসপোর্ট এ ওই ভোটার আইডি কার্ডের ভুল থেকে যাবে যা পরবর্তীতে আপনাকে বিভ্রান্ত করবে।

 তাই যাদের ভোটার আইডি কার্ডের কোন ধরনের ভুল আছে তারা দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করে নিবেন,  আপনারা চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারেন এছাড়াও নিকটস্থ নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিয়ে আপনারা ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারেন।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের পদ্ধতি

জাতীয় পরিচয় পত্র বা ভোটার আইডি কার্ড আমরা দুইভাবে সংশোধন করতে পারে প্রথমত-  যারা অনলাইনে ঝামেলা করতে না চান তারা চাইলে সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস জমা দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারেন।

নির্বাচন অফিসে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে হলে সংশোধন ফরমটি পূরণ করে এবং আবেদন সংশোধন ফি বিকাশ বা রকেট এর মাধ্যমে জমা দিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ফর্ম এর পিছনের একসাথে পিন মেরে আটকে নির্বাচন অফিসে জমা দিতে পারেন। 

জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন ফরম এর পিডিএফ ফাইল ডাউনলোড করতে পারেন। ফরমটি সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুলো ফর্ম এর পিছনের সাথে লাগিয়ে আপনারা নির্বাচন অফিসে জমা দিবেন।  জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করতে কি কি কাগজপত্র লাগে তা আমরা নিচে উল্লেখ করেছি।

অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার নিয়ম

অনলাইনের মাধ্যমে জাতীয় পরিচয় পত্র ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে হলে প্রথমে আপনাকে এই লিংকে ক্লিক করতে হবে  লিংকে ক্লিক করার সাথে সাথে আপনাকে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের ওয়েবসাইটে নিয়ে আসবে এখান থেকে আপনারা রেজিস্ট্রেশন করে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আপনারা ঘরে বসেই আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার এর মাধ্যমে অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে, পারবেন অনলাইনে আবেদন করার ফলে আপনাদের সময় অপচয় হবে না এবং নির্বাচন কমিশনের অফিসে দৌড়াদৌড়ির ঝামেলা পোহাতে হবে না। চলুন ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে 

অনলাইন কিংবা অফলাইনে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য আবেদন করতে আমাদের যে সকল কাগজপত্র প্রয়োজন সেগুলো হলো। 

    • আবেদনকারী এসএসসি  বা সমমানের পরীক্ষার সার্টিফিকেট অথবা আবেদনের সময় এগুলো ছবি তুলে স্কান করে অনলাইনে আপলোড দিতে হবে।
    • আবেদনকারীর জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি আর অনলাইনে আবেদনের ক্ষেত্রে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন সনদের ছবি তুলে স্ক্যান করে আপলোড দিতে হবে।  বর্তমান জন্ম নিবন্ধন অবশ্যই অনলাইন করা হতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ সকলের জন্যই বাধ্যতামূলক।
  • যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা নাই এবং যদি বিবাহিত হন তাহলে যে সকল কাগজপত্র দরকার।

  • জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সবার জন্য বাধ্যতামূলক
  • যদি সন্তানের ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি বা তাদের শিক্ষাগত সনদপত্র থাকে সেগুলো
  • স্বামী/ স্ত্রীর ভোটার আইডি কার্ডের কপি যদি থাকে
  • বৈবাহিক সনদপত্র বা কাবিননামা যদি থাকে
  • চাকরিজীবী হলে সার্ভিস বই বা এমপিও শীট এর কপি
  • কাউন্সিলর বা চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রাপ্ত সনদপত্র
  • অবিবাহিতদের ক্ষেত্রে একটু খেয়াল রাখবেন যে সকল কাগজপত্রে আপনার নাম সঠিক আছে সেগুলো জমা দেয়ার চেষ্টা করবেন।

এছাড়াও বাড়তি যদি কোনো কাগজপত্র প্রয়োজন হয় সেগুলো আপনাদের নির্বাচন কমিশন থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে অনলাইনে করতে গেলে আপনাদের মেসেজ এর মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার ক্ষেত্রে সকলের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ বাধ্যতামূলক। 

যারা ভোটার আইডি কার্ড এর সম্পূর্ণ নাম পরিবর্তন করতে চান তাদেরকে বলব আপনারা নির্বাচন কমিশনের কাছে একবার যোগাযোগ করে নিবেন,  এছাড়াও উপরের কাগজপত্রসহ আপনাকে এফিডেভিট করতে হবে , এবং সেগুলো কাগজপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।

আমাদের শেষ কথা  

সম্মানিত পাঠকবৃন্দ উপরে আমরা জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন কিভাবে করলেন এবং ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কি কি লাগে সে সম্পর্কে উপরে আলোচনা করেছি।  তবে আপনাকে ভেরিফিকেশন এর জন্য অনেক সময় অন্য কাগজপত্র এর প্রয়োজন হতে পারে।

সবথেকে ভালো উপায় হলো আপনারা যদি জাতীয় পরিচয় পত্র সংশোধন করার আগে একটু নির্বাচন অফিসে সাথে যোগাযোগ করে জেনে নেন তাহলে সব থেকে ভালো হবে। এছাড়াও আমরা উপরে যে সকল কাগজপত্র এর কথা উল্লেখ করেছি এইগুলো প্রয়োজন হবে। আশাকরি ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন জন্য কি কি প্রয়োজন সে সম্পর্কে আপনারা বুঝতে পেরেছেন।

Sharing Is Caring:

এই ওয়েবসাইটি মূলত প্রযুক্তির খবর, ব্যাংক ও বিমা, পড়াশোনা, টিপস এন্ড ট্রিকস, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Leave a Comment