উইন্ডোজ ১১ ইন্সটল করার নিয়ম | উইন্ডোজ ১১ এর সুবিধা

উইন্ডোজ হল মাইক্রোসফট কোম্পানির তৈরি একটি জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম বা পদ্ধতি। এটি বাজারজাত করা হয় ১৯৮৫ সালে। এ অপারেটিং সিস্টেমে কোন কমান্ড মুখস্থ করার প্রয়োজন হয় না।

মাউস ব্যবহার করে আইকনের সাহায্যে অতি সহজে যে কোন কাজ করা যায় এ অপারেটিং সিস্টেমে।
উইন্ডোজ ভিত্তিক যে কোন সফটওয়্যারে বিভিন্ন মেনু ব্যবহার করে সহজেই কমান্ড নির্বাচন করা যায় এ অপারেটিং সিস্টেমে।

উইন্ডোজ ১১

আর এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমে ফাইল ব্যবস্থাপনার জন্য রয়েছে প্রোগ্রাম ম্যানেজার। এখান থেকে যে কোন ফাইল লোড করা, মুছে ফেলা, সংরক্ষণ করা, ডিস্কে কপি করা, ট্রান্সফার করা, ডিরেক্টরি তৈরি করা ইত্যাদি কাজ খুব সহজেই করা যায়।

উইন্ডোজ ভিত্তিক সকল প্যাকেজেই আকর্ষণীয় ও চিত্তাকর্ষক হয়। এমএস ওয়ার্ড, পাওয়ার পয়েন্ট, ফক্সপ্রো ইত্যাদি হল উইন্ডোজভিত্তিক সফটওয়্যার।

উইন্ডোজ ১১ ফ্রি ইনস্টল করার নিয়ম?

বিশ্বের সবচেয়ে বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হল মাইক্রোসফট। তাদের নির্মিত কম্পিউটার অপরেটিং সিস্টেম হল উইন্ডোজ ১১ (Windows 11)। বিশ্বখ্যাত সফটওয়্যার নির্মাতা কোম্পানি মাইক্রোসফট যখনই উইন্ডোজ ১১ অবমুক্তের ঘোষণা দিয়েছে।

তখন থেকেই এর প্রতি কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের মধ্যে আলাদা উন্মাদনা কাজ করছে। বিশেষ করে যারা উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারী। উইন্ডোজ ১০ এর ডিজাইন এবং সুবিধা সম্পর্কে এখন সকলেই অবগত আছেন।

তবে অপারেটিং সিস্টেমটির প্রথম দর্শনেই কম্পিউটার ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজের লেটেস্ট আপডেটেড ভার্সন উইন্ডোজ ১১ এর প্রেমে পড়ে গেছেন অনেকেই। তবে নতুন সংস্করণটির দৃষ্টিনন্দন ডিজাইন, ফিচার ও ইন্টারফেস দেখে ব্যবহারকারীরা আর তা সইতে পারছেন না।

কিন্তু সঠিক পদ্ধতি না জানার কারণে এখনো অনেকে উইন্ডোজ ১১ আপডেট বা ইনস্টল করতে চেয়েও পারেননি। তাই তাদের জন্যই আজকের এই পোস্ট। উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজ ১১ ফ্রি ইনস্টল করতে পারবেন।

উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করার পদ্ধতি বা ধাপ?

আপনার ডিভাইস বা কম্পিউটারে যদি ইতোমধ্যে উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করা থাকে। তাহলে আপনি মাত্র ৩টি ধাপেই উইন্ডোজ ১১ ফ্রিতে তা আপগ্রেড অথবা ইনস্টল করতে পারবেন। ধাপগুলো নিচে দেওয়া হলঃ

  • প্রথমেই আপনি আপনার পিসি বা কম্পিউটারের হেলথ চেক করে দেখুন যে, আপনার কম্পিউটারের কনফিগারেশন উইন্ডোজ ১১-এর উপযোগী কি না।
  • পিসি হেলথ চেক টুলটি হল https://aka.ms/Get PCHealthCheckApp লিংক থেকে ডাউনলোড শেষে ইনস্টল করে চেক করবেন।
  • কম্পিউটার স্টার্ট বা রিস্টার্টের করুন এবং এই স্টার্ট বা রিস্টার্টের মুহূর্তে কিবোর্ডের F2 কিংবা Delete বাটন চেপে মাদারবোর্ডের বায়োসে প্রবেশ করবেন।
  • সেখানের Peripherals বা অন্য কোনো অপশনে গিয়ে Trusted Platform Module (TPM) সংক্রান্ত অপশনটা Enable/On করে দিবেন।
  • এরপর F10 চেপে সেভ করে বের হয়ে আসবেন।
  • সবশেষ ধাপে কম্পিউটারের সেটিংসে (Start > Settings) গিয়ে সবার নিচে Windows Insider Program সিলেক্ট করবেন।
  • আপনার হটমেইল বা আউটলুক ইমেইল লগইন করা না থাকলে সেখানে সাইন ইন করবেন।
  • এরপর Pick your insider settings option এ ক্লিক দিয়ে Dev channel/Beta channel (Recommended) সিলেক্ট করুন।
  • এরপর সেটিংসের (Start > Settings) Windows Update অপশনে গিয়ে আপডেট/আপগ্রেড/ইনস্টল করবেন।

উইন্ডোজ ১১ এর জন্য কম্পিউটারের নূন্যতম কনফিগারেশন?

  • প্রসেসরঃ ১ গিগাহার্জ বা তারও চেয়ে বেশি গতির ২ বা ততোধিক কোরের ৬৪-বিটের প্রসেসর।
  • র‌্যামঃ ৪ গিগাবাইট।
  • স্টোরেজঃ হার্ডডিস্কে ৬৪ গিগাবাইট + ফাঁকা স্পেস।
  • সিস্টেম ফার্মওয়্যারঃ ইউইএফআই, সিকিউর বুট বান্ধব।
  • টিপিএমঃ ট্রাস্টেড প্ল্যাটফর্ম মডিউল (টিপিএম) ২.০।
  • ডিসপ্লেঃ ৯ ইঞ্চির বেশি এইচডি (৭২০ পিক্সেল) রেজ্যুলেশন।
  • গ্রাফিক্সঃ কমপক্ষে ডিরেক্টএক্স ১২ সমর্থন করতে হবে, এর সঙ্গে উইন্ডোজ ডিসপ্লে ড্রাইভার মডেল (ডব্লিউডিডিএম) ২.০ ড্রাইভার থাকতে হবে।

এছাড়াও উইন্ডোজের আইএসও ফাইল অনলাইন থেকে ডাউনলোড করে সেটি ISO to bootable USB Tool দিয়ে পেনড্রাইভে বার্ন/রাইট করেও সেটা উইন্ডোজ ১১ ইনস্টল করা বা সেটআপ দেওয়া যায়।

Windows 11 এর সুবিধা?

  • গ্রাফিক্যাল পরিবর্তন Windows 11
  • ট্যাবলেট মোড
  • উন্নত টাস্ক ভিউ
  • ইনস্ট্যান্ট সার্চ এন্ড গেমিং

গ্রাফিক্যাল পরিবর্তন Windows 11

Windows 11 এর প্রধান সুবিধা হল গ্রাফিক্যাল পরিবর্তন। স্টার্ট বোতাম এবং স্টার্ট আপ সাউন্ড সহ উইন্ডোজ 11 এ থিম সেটটি নতুন এবং সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়।

একটি ফ্লোটিং লগইন স্ক্রিন, নতুন করে ডিজাইন করা টাস্কবার, অ্যাডাপটিভ কার্সার, ফ্রেশ আইকন এবং সিস্টেম ট্রে এবং কাস্টমাইজড নোটিফিকেশন ট্রে আরও আকর্ষণীয় করা হয়েছে।

উইন্ডোজ ১১ ডিফল্ট ব্যবহারকারীর ইন্টারফেসে একটি বিশাল উন্নতি হয়েছে। যা ব্যবহারকারীর ডিভাইসের স্ক্রিনের সাথে অটোমেটিকভাবে খাপ খায়।

স্টার্ট বোতামটি ডিফল্ট ভাবে টাস্কবারের মধ্যে থাকবে। যা আপনি চাইলেই আপনার মতো করে ডানে ও বামে নিতে পারবেন। আর এই চমৎকার ফিচারটি অন্য কোন উইন্ডোজে নেই।

ট্যাবলেট মোড

Windows 10 এর দুর্বল ট্যাবলেট মোডের কারণে ব্যবহারকারীরা অনেক বেশী নেতিবাচক মন্তব্য করেছিলেন। তবে Windows 11 এ একটি স্বজ্ঞাত ট্যাবলেট মোড রাখা হয়েছে। যা ব্যবহারে দারুণ এক্সপেরিয়েন্স পাবেন ব্যবহারকারীরা।

এছাড়াও, ব্যবহারকারীরা ভয়েস টাইপিং, টাচ স্ক্রিন, কাস্টম কীবোর্ড সেটিংস এবং ডিজিটাল পেনের মাধ্যমে স্ক্রিনে সহজে কাজ করতে পারবেন। উইন্ডোজ ১১ অপারেটিং সিস্টেমটিতে থাকছে মাইক্রোসফ্ট স্টোর, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সাপোর্ট, অ্যামাজন অ্যাপ স্টোর ইত্যাদি।

উন্নত টাস্ক ভিউ

উইন্ডোজ 11 এর রয়েছে একটি মাল্টি উইন্ডো টাস্ক প্যান। যা ব্যবহারকারীদের জন্য উইন্ডোজ ১১ এর সুবিধাগুলোকে বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ হল ব্যবহারকারীরা খুব সহজেই যে কোন মাল্টি টাস্ক স্কিন উইন্ডো প্যানের মধ্যে সহজে স্যুইচ করতে পারবেন।

Windows 11 এর মাল্টিটাস্কিং ফিচারটি ব্যবহারকারীদের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে যারা খুব বেশী মাল্টিটাস্কিং করেন। তারা এই ফিচারটিকে খুব বেশি উপভোগ করবে বলে আশা করি। Windows 11 আপনার নির্বাচিত সেটিংস নিজ থেকে মনে রাখবে।

যাতে করে আপনি সহজেই যে কোন কাস্টম ভিউতে স্যুইচ করতে পারেন। এর একটি সুবিধা হল আপনাকে নিজ থেকে পুনরায় সক্রিয় উইন্ডোগুলোকে সাজাতে হবে না।

ইনস্ট্যান্ট সার্চ এন্ড গেমিং

উইন্ডোজ ১১ এর সুবিধাগুলোর মধ্যে ইনস্ট্যান্ট সার্চ এন্ড গেমিং ফিচারটি খুবই চমৎকার হয়। উইন্ডোজ 10 এ একটি নির্দিষ্ট সফটওয়্যার বা সেটিংস খুঁজতে আপনাকে Type here to search বাটন ব্যবহার করতে হতো।

অপরদিকে উইন্ডোজ ১১ এর বেলায় ইন্সটা সার্চ ব্যবহারকারীরা ক্যোয়ারী টাইপ করার সাথে সাথে ফলাফল দেখতে সক্ষম হবেন। এটা এমন ভাবে ফলাফল প্রদান করে যেখান থেকে আপনি যে কোন জিনিস ইনস্ট্যান্ট খুঁজে পাবেন।

উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের একটি ভাল গেমিং অভিজ্ঞতার দেওয়ার জন্য Xbox এবং Microsoft Store কে একীভূত করা হয়েছে। এবং উইন্ডোজ 11 এর পারফর্মেন্সে বুস্ট এসেছে। যা গেমিং এক্সপেরিয়েন্স আরো সমৃদ্ধ করবে।

উইন্ডোজ আপগ্রেড

আপনি যদি লাইসেন্স সহ উইন্ডোজ ব্যবহার করে থাকেন। তবে যে কোন উইন্ডোজ থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতেই সহজে উইন্ডোজ ১১ এর মধ্যে মুভ করতে পারবেন। এতে করে আপনার কোন প্রকার এক্সট্রা টাকা দিতে হবে না।

আবার আপগ্রেড করতেও কোন ধরনের ঝামেলা হবে না। এগুলো ছাড়াও উইন্ডোজ ১১ ব্যবহারকারীরা উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন ধরনের সুবিধা উপভোগ করতে পারবে।

যেমনঃ ভিডিও কল, ভিডিও কনফারেন্স বা চ্যাটিং, স্টার্ট মেনুর নতুন ডিজাইন, স্নেপ লেআউট, আবহাওয়া বার্তা, ট্রেন্ডিং নিউজ ইত্যাদি। তাছাড়া এন্ড্রোয়েড অ্যাপগুলো নেটিভলি উইন্ডোজ 11 এ সহজে রান হবে।

Windows 11 এর অসুবিধা?

অনেক ব্যবহারকারীর জন্য উইন্ডোজ 11 এর সম্ভাব্য কিছু খারাপ দিক রয়েছে। যা অনেক ব্যবহারকারীর জন্য বড় ধরনের অসুবিধার কারণ। সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা ছাড়াও আরও কিছু জিনিস রয়েছে।

যা ব্যবহারকারীরা উইন্ডোজ 11 এ অনুপস্থিত বোধ করতে পারেন। তাই উইন্ডোজ 11 ব্যবহারকারীদের কিছু সাধারণ অসুবিধার কথা নিচে বলা হলঃ

উইন্ডোজ 11 ব্যবহার করতে কমপক্ষে ৮ জিবি র‌্যাম এবং 64 জিবি হার্ড ডিস্ক স্পেস প্রয়োজন হয়। এছাড়াও কম্পিউটারে TPM 1.2 বা উচ্চতর একটি TPM সুরক্ষা সংস্করণ এবং Windows 11 এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার জন্য দুটি বা তার বেশি কোর এবং 1GHz এর চেয়ে বেশী গতিসম্পন্ন প্রসেসর সহ নিরাপদ বুট সক্ষম সমর্থন থাকতে হয়।

আর এই শর্তগুলো উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের অনেক বড় একটি অংশ নিঃসন্দেহে পূরণ করতে পারবে না। বিশেষ করে যারা লো বাজেটের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ব্যবহার করেন।

তারা উইন্ডোজ ১১ এর সুবিধা থেকে সম্পূর্ণ ভাবে বঞ্চিত হবেন। আবার ভাল কনফিগারেশনের কম্পিউটার বা ল্যাপটপ ক্রয় করার জন্য বড় অংকের বাজেট প্রয়োজন হবে।

যা অধিকাংশ মানুষের জন্য খুব বেশী কষ্টসাধ্য ব্যাপার। আরেকটি প্রধান সমস্যা হলো গ্রাফিক্স কার্ড। যা Direct X12 এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বা WDDM 2.0 ড্রাইভারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

আর এটি করতে গিয়ে বাজেট আরও বেশি হতে পারে। তাই অধিকাংশ ব্যবহারকারী অন্যান্য উইন্ডোজ থেকে উইন্ডোজ ১১ তে স্যুইচ করা কঠিন হয়ে পড়বে।

উইন্ডোজ ১১ প্রাথমিক রিলিজের তারিখ কত?

Windows 11 প্রাথমিক ভাবে রিলিজ হয় ২৪ জুন, ২০২১ সালে।

উইন্ডোজ 10 ভালো নাকি উইন্ডোজ 11 ভাল?

আপনি যদি উইন্ডোজের সবচেয়ে লেটেস্ট এবং সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্করণ খুঁজে থাকেন। তবে Windows 11 হবে আপনার জন্য সবচেয়ে ভাল। তাছাড়া যদি Windows ব্যবহারে সবচেয়ে সুরক্ষিত থাকতে চান।

তাহলে আপনি অন্যান্য উইন্ডোজ থেকে Windows 11 এ মুভ করুন। উইন্ডোজ ১১ এর সুবিধাগুলোর দিকে লক্ষ্য করে সবদিক বিবেচনায় উইন্ডোজ 10 অনেকটা পিছিয়ে থাকবে।

সিকিউরিটির দিক দিয়েও উইন্ডোজ ১১ অন্যান্য সকল উইন্ডোজ থেকে অনেক এগিয়ে থাকবে। Windows 11 কে TPM চিপ এবং সিকিউর বুট কিভাবে সুরক্ষিত করেছে।

উইন্ডোজ 11 কি গেমিংয়ের জন্য ভাল?

Windows 10 এর চেয়ে গেমিং পারফর্মেন্সে Windows 11 অনেক বেশি এগিয়ে থাকবে। কেননা উইন্ডোজ ১১ সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এবং এটা এমন ভাবে অপটিমাইজ করা হয়েছে যে গেমিং পারফর্মেন্স অনেক ভাল হবে।

Windows 11 এর সুবিধাগুলো কি কি?

  • সুন্দর এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ নতুন ডিজাইন।
  • ভিডিও গেমের জন্য আপডেট।
  • উন্নত কর্মক্ষমতা।
  • উন্নত মাল্টি-মনিটর কার্যকারিতা।
  • দুর্দান্ত উইন্ডো লেআউট।
  • Android অ্যাপস নেটিভলি রান হওয়া।
Sharing Is Caring:

এই ওয়েবসাইটি মূলত প্রযুক্তির খবর, ব্যাংক ও বিমা, পড়াশোনা, টিপস এন্ড ট্রিকস, ভিসার খবর, স্বাস্থ্য টিপস ও অনলাইন ইনকাম সম্পর্কিত তথ্যের বিরাট একটি প্ল্যাটফর্ম।

Leave a Comment